সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
ব্রুনেইয়ের সুলতানের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা হার মানাতে পারে রূপকথার গল্পকে। অর্থ, প্রাচুর্যের মধ্যে ডুবে থাকা সেই সুলতানের এক অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলেন অভিনেতা সইফ আলি খান। তিনিও তো নবাব বংশের ধারা বহন করছেন!
কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সইফ আলি খান জানিয়েছিলেন, স্বনামধন্য লোকজনের সমাগমে এক আসরে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। ব্রুনেইয়ের সুলতান সেই আসরের উদ্যোক্তা ছিলেন। সুলতানের মেয়ে ছিলেন বলিউড ছবির ভক্ত।
সইফ বলেছিলেন, “ব্রুনেইয়ের সুলতানের অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলাম। মাইকেল জ্যাকসনকেও গান গাইতে ডেকেছিলেন তিনি। বিপুল সম্পদের অধিকারী সুলতান, সত্যিই ধনী। তাঁর মেয়ে বলিউডের খবরাখবর রাখতেন। মনে আছে মনীষা কৈরালা ছিল, আরও অনেকেই ছিল। জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানটা হয়েছিল লন্ডনের ডরচেসটার হোটেলে।”
সইফের মনে পড়ে, দু’ধরনের চেয়ার ছিল অনুষ্ঠানে, ছোট আর বড়। তিনি বলেছিলেন, “আমি তো বড় চেয়ারটায় বসতে গিয়েছি। কিন্তু এক জন আমাকে বললেন, ওই চেয়ারটা সুলতানের মেয়ের জন্য সংরক্ষিত। তার পর একসঙ্গে ছবিও তোলা হয়েছিল।”
সইফ জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠান থেকে যখন চলে আসছেন, একটি বাক্স উপহার পেয়েছিলেন। বাক্স খুলে সইফ দেখেছিলেন হিরেখচিত সুদৃশ্য একটি রোলেক্স ঘড়ি। খাঁটি সোনার!
সইফ বলেন, “আমার স্ত্রীকে ঘড়িটা দিয়ে দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত ওটা মেয়েদেরই পরার ঘড়ি ছিল। সোনার ঘড়ির সারা গায়ে হিরের কাজ!” সেই বহুমূল্য উপহার অবশ্য বিক্রিও করে দিতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। চলচ্চিত্র প্রযোজক রমেশ তৌরানিকে ঘড়িটি বিক্রির চেষ্টাও করেছিলেন সইফ। কত দাম হয় সেটির, ধারণাই ছিল না। সইফ প্রযোজকের হাতে দিয়ে শুধু বলেছিলেন, “আপনি যা ভাল বোঝেন।”
তৌরানির সঙ্গে সইফ কাজ করেছিলেন ‘রেস’ (২০০৮) ছবিতে। তাঁর কন্যা সারা আলি খানও সম্প্রতি ‘গ্যাসলাইট’ ছবিতে তৌরানির সঙ্গে কাজ করেছেন।
আগামী দিনে সইফকে দেখা যাবে ‘আদিপুরুষ’-এ। এই ছবি ঘিরে সব থেকে বেশি বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল রাবণ চরিত্রের অভিনেতা সইফকেই। প্রচারপর্বেও তাঁকে দেখাই যায়নি।