Deepika Padukone-Ranveer Singh

মেয়ে দুয়ার জন্মের আগে থেকেই দীপিকার দাপট, আগেভাগে কোন কাজটা সেরে রেখেছেন রণবীর?

রণবীর কি আঁচ করতে পেরেছিলেন সন্তান জন্মের পর দীপিকার দাপটই বাড়বে সংসারে? সেই কারণে আগেভাগে কোন সর্তকতা অবলম্বন করেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯
Share:

দীপিকার ভয়ে মেয়ের জন্মের আগেই যে কাজটা সেরে রেখেছেন রণবীর! ছবি: সংগৃহীত।

রণবীর সিংহ অনেকেরই অনুপ্রেরণা। দীপিকা পাড়ুকোন ঝড় তোলেন অনেকের মনে। তাঁদের প্রেম থেকে বিয়ে— সব কিছুই ছিল খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি কন্যাসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তাঁরা। মেয়ের নাম রেখেছেন দুয়া পাড়ুকোন সিংহ। দিন কয়েক আগে প্রথম বার মেয়েকে বুকে আঁকড়ে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে দীপিকাকে। অভিনেত্রীর মেয়ে দুয়ার নামের মধ্যেও রয়েছে তাঁর বাপের বাড়ির আধিপত্য। দীপিকা নিজে তাঁর মা ও বোনের নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে নাকি মেয়ের নামকরণ করেছেন। যদিও দীপিকার প্রতি প্রেম, ভালবাসা নিয়ে কোনও দিনই লুকোছাপা নেই নায়কের। তবু রণবীর কি আঁচ করতে পেরেছিলেন সন্তান জন্মের পর দীপিকার দাপটই বাড়বে সংসারে? সেই কারণে আগে ভাগে কোঙ্কনি ভাষা শিখে নিয়েছিলেন?

Advertisement

দীপিকা দক্ষিণ ভারতীয়। রণবীর সিন্ধি। ভাষা কিংবা সম্প্রদায়গত ভিন্নতা কখনওই তাঁদের সম্পর্কের অন্তরায় হয়নি। অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন বিয়ের পর থেকে নাকি রসমই (দক্ষিণ ভারতীয় খাবার) খাচ্ছেন তিনি। বিয়ের পর পরই দীপিকা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি পদবি বদলাচ্ছেন না, বরং তাঁর স্বামী রণবীর সিংহ থেকে রণবীর সিংহ পাড়ুকোন হয়েছেন। সে সব কথা মাথায় রেখেই রণবীর দীপিকার মাতৃভাষা রপ্ত করে ফেলেন। যাতে ভবিষ্যতে সন্তান জন্মের পর দীপিকা সন্তানদের সঙ্গে কোঙ্কনিতে কথা বললেও রণবীরের বুঝতে অসুবিধা না হয়।

বছর দুয়েক আগে ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে-তে বসবাসকারী কোঙ্কনি সম্প্রদায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন তারকা দম্পতি। সেখানেই এই মজার তথ্য ফাঁস করেছিলেন রণবীর সিংহ। তিনি বলেন, “আমি কোঙ্কনি ভাষা ভাল ভাবে বুঝতে পারি। তবে এই বোঝার পিছনে রহস্য আছে। কারণ হল, আমাদের যখন সন্তান হবে, দীপিকা সন্তানদের সঙ্গে কোঙ্কনি ভাষায় আমার সম্পর্কে কিছু বললে আমি যেন বুঝতে পারি।” রণবীরের কথা শুনে হাসতে হাসতে দীপিকার সংযোজন, “যখন রণবীর আমার কাছে কোঙ্কনি ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করে, আমি বেশ খুশিই হয়েছিলাম। পরে আমি আসল কারণ জানতে পারি। যাতে আমি সন্তানদের তাদের বাবার বিরুদ্ধে কিছু না বলতে পারি, তাই ওর এত ইচ্ছা এই ভাষা শেখার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement