শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে অনুষ্ঠানে কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’ থেকে শুরু হয়েছিল গানের সফর। তার পরে কেটেছে অনেকটা সময়। কোনও দিনই ভাবেননি, গানই হয়ে উঠবে প্রধান পেশা। কিন্তু সুর কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এসেছে সেই জগতে। সাত সুরের সূত্রেই তাঁর কলকাতা থেকে মুম্বই, নিত্য যাতায়াত। সম্প্রতি বরুণ ধওয়ান ও সামান্থা রুথ প্রভু অভিনীত ‘সিটাডেল হানি বানি’-তে তাঁর গান ‘জ়রুরি তো নেহি’ বাজছে সঙ্গীতপ্রেমীদের প্লে-লিস্টে। এই মুহূর্তে বিদেশে বসে সাফল্য উপভোগ করছেন তিনি। শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে মঞ্চে গান গাইতে পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকেই ফোনে কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন: এখন তো অস্ট্রেলিয়ায়?
কিঞ্জল: হ্যাঁ। ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী ভারতের থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা এগিয়ে রয়েছি। সিডনিতে অনুষ্ঠান রয়েছে, একটি অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে মেলবোর্নে। গত সাত বছর ধরে শ্রেয়াদির সঙ্গে মঞ্চে অনুষ্ঠান করি। এটা আমার জীবনের একটা মাইলফলক। গোটা পৃথিবী জুড়ে অনুষ্ঠান করে শ্রেয়াদি। তাই আমারও বিশ্বভ্রমণ চলতেই থাকে।
প্রশ্ন: আসানসোল থেকে কলকাতা। এখন কলকাতা থেকে মুম্বই। কেমন চলছে সুরের সফর?
কিঞ্জল: মফস্সলের ছেলেমেয়েদের মনে একটা ভয় থাকে। আমরা ভাবি, বড় শহরে গিয়ে আমরা থাকতে পারব তো? ছোট শহরে আমরা একটা চেনা পরিধিতে বড় হই। সেই সব ভয় কাটিয়েই কলকাতায় পড়াশোনা করতে চলে গিয়েছিলাম। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি থেকে কলকাতায় থাকা। তারপর হাজরা ল কলেজে আইন নিয়ে পড়েছি।
প্রশ্ন: তা হলে গানই পেশা হয়ে উঠবে, এমন আশা বা পরিকল্পনা কোনওটাই ছিল না?
কিঞ্জল: পড়াশোনা করতে করতেই গানের যাত্রা শুরু হয়ে যায়। জীবনের প্রথম ১৫ বছর কেটেছে আসানসোলে। তার পরের ১৫ বছর কলকাতায়। তার পরে শুরু হয় মুম্বই যাতায়াত ও বিশ্বভ্রমণ। কিন্তু আমার সঙ্গীতশিল্পী হয়ে ওঠার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। বরং ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছে ছিল। পরে ইচ্ছে হল ড্রামস্ বাজাব। স্কুল-কলেজের ব্যান্ডে আমি ড্রামার ছিলাম। স্থিরতা ছিল না। অবশেষে ভাগ্যই আমাকে গান-বাজনায় নিয়ে এল।
প্রশ্ন: ‘সিটাডেল হানি বানি’ ওয়েব সিরিজ়ে গান গাওয়ার সুযোগ এল কী ভাবে?
কিঞ্জল: আমি একটা সময় মুম্বই যাতায়াত করা শুরু করলাম। বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হল। এই ভাবেই আলাপ হল ‘জ়রুরি তো নেহি’ গানের পরিচালক অমান পন্থের সঙ্গে, ২০১৯ সালে। ওঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হল। একই বয়সি আমরা। বিজ্ঞাপনে আমরা বেশ কিছু কাজও করেছি। তবে এটাই প্রথম বড় কাজ আমাদের।
প্রশ্ন: বড় পর্দার ছবির ক্ষেত্রের গানেরও প্রচারও হয় বড় মাপে। কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সিরিজ়ে গাওয়া গান কি সে ভাবে মানুষ শোনে?
কিঞ্জল: আজকাল রিল ভিডিয়োর খুব চল। সেখানেও গানের প্রচার হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনও গান হিট হওয়া তুলনামূলক ভাবে কঠিন। খুব কমই হয়ে থাকে। ‘কলা’, ‘জ়ুবিলি’-র গান মানুষ পছন্দ করেছে। ‘মিসম্যাচ্ড’ ওয়েব সিরিজ়ে রেখা ভরদ্বাজের কণ্ঠে ‘অ্যায়সে কিঁউ’ হিট করেছিল। ‘সিটাডেল হানি বানি’-ও বড় মাপের সিরিজ়। যদিও এমন একটা সিরিজ়ে যে গজ়ল থাকতে পারে, সেটা অনেকেই আশা করেননি। মানুষের বেশ অন্য রকম লেগেছে। গানটা মানুষের কাছে পৌঁছলে ভাল লাগবে। এই ওয়েব সিরিজ়ে সচিন-জিগরের মতো সুরকারদেরও গান রয়েছে। তার মধ্যে অমান পন্থের সুরে এই গান মানুষ পছন্দ করছে।
প্রশ্ন: মুম্বইতে এই জায়গাটা করে নেওয়া বেশ কঠিন ছিল?
কিঞ্জল: পুরোটাই কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে। আমি কলকাতা ও মুম্বইকে কখনই আলাদা ভাবে দেখি না। মুম্বইয়ে ভিড় বেশি। সারা দেশের মানুষ সেখানে যায়। তবে দিনের শেষে কর্মদক্ষতা ও প্রতিভাই কথা বলে। রিয়্যালিটি শো হয়তো প্রথম মঞ্চটা দেয়। কিন্তু তার পরে গান কতটা গাইতে পারলাম, সেটাই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। ভাল গাইলে যে কোনও অঞ্চলেই ভাল কাজ করা যায়।
প্রশ্ন: তা হলে কি স্বজনপোষণের তত্ত্ব ভুল? মুম্বইয়ে সে সব হয় না? কলকাতায় তো শোনা যায়, নির্দিষ্ট বৃত্তের শিল্পীরাই শুধু সুযোগ পান...
কিঞ্জল: আসলে কলকাতার কাজ সীমিত। কিন্তু মুম্বইয়ে অফুরন্ত কাজ। মুম্বইয়ে ১০০টা কাজ হলে, কলকাতায় ১০টা। এত অল্প কাজ বলেই নতুনদের খোঁজ সেই ভাবে চালানো হয় না। ‘ওই তো চেনাশোনা আছে, ওদের দিয়েই কাজ করিয়ে নেব’, এই মনোভাব রয়েছে কলকাতার। তবে এর মধ্যেও কেউ কেউ নতুনদের খোঁজ করেন। যেমন সৃজিতদা (সৃজিত মুখোপাধ্যায়)। সৃজিতদা অনুপম রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। তেমন সৃজিতদার ছবিতেই সানাই ‘ভালবাসার মরসুম’ করেছেন। এই মনোভাবটা সকলের থাকলে আরও নতুনদের পেতাম আমরা।
প্রশ্ন: রিয়্যালিটি শোয়ের পরে প্রথম বড় সুযোগ কে দেন?
কিঞ্জল: ২০১০-এ আমি সারেগামাপা-য় ছিলাম। সেই সময়ে বহু ধারাবাহিকে গান গেয়েছিলাম। আমার শুরুটা খুব ধাপে ধাপে হয়েছে। খুব কম বাজেটের কিছু কাজ দিয়ে শুরু। সেখান থেকে একটু একটু করে এগিয়ে আজ ‘সিটাডেল হানি বানি’-তে গাইলাম। ২০১৩ সালে ‘ভাড়াটে’ নামে একটা ছবিতে গান গেয়েছিলাম মনে আছে। শেষ বাংলা গান গাইলাম কিছু দিন আগেই মুক্তি পাওয়া ‘সূর্য’ ছবিতে। ওই গানটাও মানুষ পছন্দ করেছেন। যে গান মানুষ বছরের পর বছর ধরে শুনবে, তেমন গান ভাল লাগে। ইউটিউবে দু’ কোটি ভিউ হওয়ার দু’মাস পরে মানুষ ভুলে যাবেন, এমন যেন না হয়।
প্রশ্ন: শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে এক মঞ্চে আপনি গান করেন। এই সুযোগটা আসে কী ভাবে?
কিঞ্জল: আমি মনে করি, ‘গড ইজ় ম্যাজিক’। আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, তোমার কাছে ঈশ্বর কী? আমি বলব ‘ম্যাজিক’। সুযোগ পাওয়ার আগে কোনও দিন শ্রেয়া ঘোষালের সামনেই যাওয়া হয়নি। হঠাৎ একটা ফোন আসে শ্রেয়াদির ম্যানেজারের থেকে। এই ফোনটা না এলে বুঝতাম না, হঠাৎ এমন সুযোগও আসে। কলকাতায় আমাকে রীতিমতো বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানতে পারি, কেউ ওঁকে আমার খোঁজ দিয়েছিলেন। ওঁর সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য কাউকে খুঁজছিলেন। অনেকের গান শুনেছিলেন। তবে আমার গান শুনে আমাকেই বেছে নেন তিনি।
প্রশ্ন: শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে সাত বছর ধরে গান গাওয়া মানে তো একটা বড় প্রশিক্ষণ...
কিঞ্জল: গানের বিষয়ে তো শেখার কোনও শেষ নেই। কিন্তু মঞ্চের বাইরে এক জন পেশাদার শিল্পী কেমন থাকেন, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি শিখেছি। ওঁর থেকে প্রতিটা বিষয় শেখার মতো। সাফল্যে এলেও নিজের মাথা কী ভাবে ঠান্ডা রাখতে হয়, পা রাখতে হয় মাটি ছুঁয়ে, সেটা শ্রেয়াদির থেকে শেখার। শ্রেয়াদি এক নম্বরেরও ঊর্ধ্বে।
প্রশ্ন: মুম্বই ও কলকাতায় কাজের ধরনে তো নিশ্চয়ই বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। কী কী পার্থক্য চিহ্নিত করলেন?
কিঞ্জল: মুম্বই অনেক বেশি সুযোগ দেয়। মুম্বইয়ে ভাল শিল্পীর খোঁজটা সব সময় আছে। কে ভাল গাইছে, কে ভাল বাজাচ্ছে, কে ভাল প্রোগ্রামিং করছে, এগুলো নিয়ে খোঁজ চলতে থাকে। তাই মুম্বইতে কাজও মসৃণ ভাবে হয়। কিন্তু কলকাতায় এই খুঁজে নেওয়ার মতো লোকজনের অভাব রয়েছে। আমার মতো বা আমার চেয়ে কত ভাল শিল্পীরা রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের খুঁজে নিয়ে সুযোগ দেওয়া, এই বিষয়টা নেই এখানে। নতুনদের খুঁজে সুযোগ দিলে বোঝা যাবে, কলকাতায় কত প্রতিভা রয়েছে।
প্রশ্ন: এখন তো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যে গান শোনা যায়। এই বিষয়টাকে আদতে সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য ভাল হচ্ছে?
কিঞ্জল: আমরা যখন বড় হচ্ছি, ক্যাসেট বা সিডির জন্য নির্দিষ্ট মূল্য দিতাম। পারিশ্রমিক দেওয়া মানে সম্মান দেওয়া। ডিজিটাল যুগ আসার পরে হঠাৎ যেন এই সম্মান দেওয়ার অভ্যেসটা হাওয়া হয়ে গেল। শুধু ডিজিটাল মাধ্যম নয়। লাইভ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পারিশ্রমিকের বিষয়টা ঘেঁটে গিয়েছে।
প্রশ্ন: এখন তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনও শিল্পীর কণ্ঠে যে কোনও গান বসে যাচ্ছে...
কিঞ্জল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তো কৃত্রিম। কিন্তু সঙ্গীতে মধ্যে যেটা দরকার সেটা হল প্রাণ। সঙ্গীতে কৃত্রিম বলে কিছু হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। বিজ্ঞানের সদ্ব্যবহার কী ভাবে হবে সেটা তো মানুষকেই ঠিক করতে হবে। তবে কিছু দিন হয় তো সমাজমাধ্যমে খোরাক তৈরি করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। শিল্পীদের ঝুঁকিতে ফেলার ক্ষমতা এর নেই কখনওই।
প্রশ্ন: আর আজকাল বলিউডে রিমেকের চল নিয়ে কী বলবেন? প্রায় প্রতিটি ছবিতেই পুরনো গানকে নতুন ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
কিঞ্জল: বলিউডে এই চল বরাবর রয়েছে। ৩০-৪০-এর দশকে সরস্বতী চন্দ্র নামে একজন সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। তাঁরই একটি গান পরে ১৯৬১ সালে কিশোর কুমার রিমেক করেন। কালজয়ী গান— ‘কোই হমদম না রহাঁ, কোই সাহারা না রহাঁ’। আসলে গানটাকে সম্মান দিতে হবে। রিমেক হলেও সম্মানের সঙ্গে করতে হবে। গানটা যাতে বিকৃত না হয়।
প্রশ্ন: আপনার সফর শুরু রিয়্যালিটি শো থেকে। কিন্তু এখন রিয়্যালিটি শো-এর ফরম্যাটে বহু বদল এসেছে। রিয়্যালিটি শোয়ের শিল্পীদের কি বেশি দিন এখন কেউ মনে রাখেন না?
কিঞ্জল: কিছু বিষয় অর্গ্যানিক থাকলেই ভাল। কৃত্রিম হয়ে গেলে মানুষের মন আর ছোঁয় না। তখন ঝাঁ-চকচকে ভাবের অভাব ছিল। কিন্তু হৃদয়ের যোগাযোগ ছিল। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানগুলো ঝাঁ-চকচকে হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েক বার হিটও হয়েছে। কিন্তু এর স্থায়িত্ব কত দিন সেটা দেখার।
প্রশ্ন: এক দিকে অরিজিৎ সিংহ, দিলজিৎ দোসাঞ্জের জন্য অনুরাগীদের উন্মাদনা। আবার অনুভ জৈন বা প্রতীক কুহাড়ের মতো শিল্পীদের নিয়েও রমরমা রয়েছে। মঞ্চের অনুষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী মনে হয়?
কিঞ্জল: কিশোর কুমারের কোনও গানের ক্ষেত্রে হয়তো ছবির দৃশ্য মনেই নেই। তবে গানটা মনে থেকে গিয়েছে। সঙ্গীত একটা স্বাধীন শিল্প। পশ্চিমের দুনিয়া এটা অনেক আগেই বুঝে গিয়েছিল। মাইকেল জ্যাকসনের মতো বড় তারকা কিন্তু কোনও অভিনেতাও হননি। আমাদের ছোটবেলাতেও ইউফোরিয়া ও লাকি আলিদের রমরমা ছিল। এখন অনুভ জৈন বা প্রতীক কুহাড়ের মতো শিল্পীরা এসেছেন। কিন্তু সঙ্গীত কখনওই একই বাঁধা গতে চলে না। এঁদের গান মানেই একই ধরনের গান। অরিজিৎ সিংহও কিন্তু খ্যাতি পাওয়ার পরে স্বাধীন গানবাজনা করেছেন। আর দিলজিৎ অসাধারণ অভিনেতাও একজন। তাঁর তো আন্তর্জাতিক পরিচিতিও রয়েছে। আসলে সব রকমের গান গাইতে হবে। তা হলেই স্বাধীন শিল্পী হিসাবে মঞ্চে টিকে থাকা যাবে। গান হোক এমন, যেটা হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
প্রশ্ন: আচ্ছা প্রথম দিকে আপনার তো গান নিয়ে কোনও প্রশিক্ষণ ছিল না। এখন সেটা নিয়ে কী ভাবেন?
কিঞ্জল: প্রশিক্ষণ নেওয়া খুব জরুরি। আমার প্রশিক্ষণ ছিল না বলে এখন আক্ষেপ হয়। প্রশিক্ষণ না থাকলে একটা সময়ের পরে থমকে যেতে হয়। আমি দেরিতে শুরু করি প্রশিক্ষণ নেওয়া। কিন্তু এখনও চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বলা হয়, ভাল গান গাইতে গেলে ভাল মানুষ হয়ে ওঠা জরুরি। আপনার কী মনে হয়?
কিঞ্জল: গান গাওয়ার সময়ে শিল্পীর ভিতরটা অনুভব করা যায়। ভাল-খারাপ বিষয়টা খুব আপেক্ষিক। কিন্তু শিল্পী গান গাওয়ার পরে যেন একটা সুন্দর রেশ থেকে যায়। শ্রোতা যেন আনন্দ ও শান্তি পায় গান শুনে।
প্রশ্ন: সমসাময়িক কাদের গান পছন্দ?
কিঞ্জল: মধুবন্তী বাগচীর গান পছন্দ। ও আমার বহু দিনের বন্ধু। এ ছাড়া বরুণ জৈনের গানও ভাল লাগে। আরও অনেকে রয়েছেন।
প্রশ্ন: ‘সিটাডেল হানি বানি’-তে গাইলেন। মানুষ পছন্দ করছে। সাফল্য নিয়ে পরিবারের কী প্রতিক্রিয়া?
কিঞ্জল: আমার পরিবার কখনওই উচ্ছ্বসিত হয় না। ওরা চায়, আমি যেন মন দিয়ে গানটা গেয়ে যাই। সেটাই আমিও করে যেতে চাই।