অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও অভিনেত্রী হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত।
ধর্মেন্দ্র তখন ঘোর সংসারী। এ দিকে প্রেম করছেন হেমা মালিনীর সঙ্গে। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন হেমা। গর্ভে তখন ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে প্রথম সন্তান এষা দেওল। সেই অবস্থায় এক দিন দেখা হল ধর্মেন্দ্রের মা সতবন্ত কউরের সঙ্গে। তার পর?
অভিনেতা ধর্মেন্দ্র এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনীর বিয়ে সমাজের আর পাঁচটা বিয়ের মতো চেনা রাস্তায় হয়নি। প্রকাশ কৌরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের দাম্পত্য জীবন তত দিনে অনেক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। প্রথম বিয়ের সম্পর্ক থেকে না বেরিয়েই হেমাকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। হেমাও বরাবর সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রেখেছেন ধর্মেন্দ্রের প্রথম পক্ষের পরিবারের কাছ থেকে। তিনি কখনও চাননি ধর্মেন্দ্র আগের সব সম্পর্ক চুকিয়ে অসুখী জীবন কাটান। হেমার অনুরোধে প্রকাশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেননি ধর্মেন্দ্রও, তবে থাকতেন হেমার সঙ্গেই।
রামকমল মুখোপাধ্যায়ের লেখা হেমার জীবনী ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ বইটিতে প্রকাশ্যে এসেছে অতীতের কিছু চমকপ্রদ অধ্যায়। ধর্মেন্দ্রের মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা হেমার জীবনে বিশেষ হয়ে থেকে গিয়েছে।
সতবন্ত কউর নিজেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানতে পারেন হেমা অন্তঃসত্ত্বা। তবু বুক ভরে আশীর্বাদ করেছিলেন সতবন্ত।
হেমার কথায়, “ধর্মেন্দ্রের মা খুব আন্তরিক এবং দয়ালু ছিলেন। আমার মনে আছে কী ভাবে উনি জুহুর একটি ডাবিং স্টুডিয়োতে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এষা তখন আমার গর্ভে। বাড়ির কাউকে কিছু জানাননি উনি। আমি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলাম। উনি আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘সব সময় খুশি থেকো।’ ওঁর সঙ্গে দেখা হয়ে আমার মন ভরে গিয়েছিল।”
ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের চার সন্তান। পুত্র সানি, ববি এবং কন্যা বিজেতা, অজিয়েতা। ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন হেমা-ধর্মেন্দ্র। দেওল পরিবারের সঙ্গে হেমার সম্পর্ক ভালই ছিল। ধর্মেন্দ্রের আগের পক্ষের বড় ছেলে সানি তাঁর পাশে সব সময় থেকেছেন। সব মিলিয়ে বৃহত্তর পরিবার গড়ে সুখেই জীবনযাপন করছেন ধর্মেন্দ্র।