তখন তারকার দাবি ছিল, কৃত্রিম সৌন্দর্যের কোনও মানে নেই। অস্ত্রোপচার করে ভোল পাল্টানোর মতো কাজে কখনওই প্ররোচনা দেওয়া উচিত নয়। সংগৃহীত
২০০৬ সাল। ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর খেতাব জিতেছিলেন শ্রীলঙ্কার মডেল জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি গর্বের সঙ্গে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি, তার ভিডিয়ো এখনও সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়ায়। জ্যাকলিনকে সেখানে কসমেটিক সার্জারির বিরোধিতা করতে শোনা গিয়েছিল। তাঁর মুখের আদলও তখন অনেকটাই আলাদা। নেটাগরিকদের নজরে আসে, আগে আর পরে জ্যাকলিনের মুখের কত ফারাক!
এ দিকে, তখন তারকার দাবি ছিল, কৃত্রিম সৌন্দর্যের কোনও মানে নেই। অস্ত্রোপচার করে ভোল বদলানোর মতো কাজে কখনই প্ররোচনা দেওয়া উচিত নয়। ভিডিয়োতে জ্যাকলিনকে বলতে শোনা যায়, “আমি মনে করি, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় কসমেটিক সার্জারি করে আসা মডেলদের অগ্রাধিকার দেওয়া ঠিক নয়। তা হলে স্বাভাবিক সৌন্দর্যের অবমাননা করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে সৌন্দর্য বাড়িয়ে যদি কেউ প্রতিযোগিতায় যোগ দেন, তা হলে অন্য এক জন হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারেন। সবার কি সামর্থ্য হয় অস্ত্রোপচার করানোর? তবে কেন এই বিষয়টিকে উৎসাহ দেওয়া হবে?”
জ্যাকলিনের মতে, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা কখনও কৃত্রিম সৌন্দর্য প্রদর্শনের মঞ্চ হতে পারে না।
এ দিকে নিজেই মত বদলে ফেললেন পরে? অনেকের মতে, সেই বক্তৃতার ঠিক পর পরই প্লাস্টিক সার্জারি করান জ্যাকলিন। মুখ বদলে ফেলেন। শরীরও। তাই পুরনো সেই ভাষণের ভিডিয়োর নীচেও মন্তব্য জমা হতে দেখা যায়, “নিজে কী করলেন তবে?”
তবে আর এক মন্তব্যকারী শোরগোলের মাঝে গলা তুলে বললেন, “জ্যাকলিন কিন্তু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে কৃত্রিম সৌন্দর্যকে প্রাধান্য না দেওয়ার কথা বলেছিলেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই পথে না যাওয়ার কথা এক বারও বলেননি।”
সম্প্রতি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত অভিনেত্রী। ২০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে থানায় হাজিরা দিতে যেতে হয় তাঁকে। ইডি তলব করে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতেও চেয়েছিল, তবে সম্প্রতি জামিনে খালাস পেয়েছেন জ্যাকলিন।