আমিশাকে পাল্টা বিঁধেছিলেন বিপাশা। ফাইল চিত্র।
সাল ২০০৩। মুক্তি পেয়েছিল ‘জিসম’। এই ছবির হাত ধরে রুপোলি পর্দায় জন আব্রাহাম ও বিপাশা বসুর রসায়ন আসমুদ্রহিমাচল তুফান তুলেছিল। ‘জাদু হ্যায় নশা হ্যায়’ গানে বঙ্গললনার মোহময়ী অবতারে লাখো লাখো পুরুষ-হৃদয় দুলেছিল। এই ছবিতে বিপাশার চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে নাক সিঁটকোনোয় আমিশা পটেলকে ‘মোক্ষম’ জবাব দিয়েছিলেন বাঙালি সুন্দরী।
কী ঘটেছিল?
মহেশ ভট্টের প্রযোজনায় ‘জিসম’ ছবিতে বিপাশার পরিবর্তে যদি তাঁকে নেওয়া হত, তা হলে কী হত? এ রকমই এক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন ‘কহো না প্যায়র হ্যায়’, ‘গদর’-এর মতো সফল ছবির নায়িকা আমিশা। উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে, জিসমের মতো ছবি তিনি কখনই করবেন না। কারণ তাঁর ঠাকুমা এটা মেনে নেবেন না।
আমিশার এই মন্তব্য নিয়ে ২০০৫ সালে ‘কফি উইথ করণ’ শোয়ে বিপাশাকে প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্চালক তথা পরিচালক-প্রযোজক কর্ণ জোহর। ওই পর্বে বিপাশার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী লারা দত্ত। আমিশার মন্তব্য প্রসঙ্গে বিপাশা বলেছিলেন, ‘‘একটা সাক্ষাৎকার পড়েছি, যেখানে উনি (আমিশা) বলেছেন যে, জিসমের মতো ছবি তিনি কখনই করবেন না, কারণ ওঁর ঠাকুমা মেনে নেবেন না।’’ এর পরই বিপাশা সাফ বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে, আসলে জিসমের মতো ছবিতে অভিনয় করতে গেলে যে ধরনের চেহারা থাকতে হয়, সেটা আমিশার নেই। ওর চেহারার কাঠামো এই চরিত্রের জন্য একেবারেই বেমানান।’’ বিপাশা যখন আমিশাকে তুলোধনা করছেন, তখন পাশে বসে হেসে ফেলেছিলেন লারা।
বলিপাড়ায় নায়িকাদের মধ্যে রেষারেষি কিংবা ‘ক্যাটফাইট’-এর গল্প নতুন কিছু নয়। তবে আমিশাকে যে ভাবে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন ‘বিপস’, তা আলোড়ন ফেলেছিল সিনে দুনিয়ায়।
২০০২ সালে ‘রাজ’ ছবির সাফল্যের পর বলিউডে আর পিছন থেকে ফিরে তাকাতে হয়নি বিপাশাকে। এই ছবিতে বাজিমাত করেন বঙ্গসুন্দরী। তার পরের বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘জিসম’। ছবিতে জন আব্রাহামের সঙ্গে বিপাশার পর্দার রোম্যান্স মাত করেছিল দর্শক মহলকে। পরে পর্দার সেই প্রেম গড়িয়েছিল বাস্তবেও। দীর্ঘ দিন প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সে সময় জন-বিপাশা জুটি মানেই রুপোলি পর্দায় উষ্ণতা ছড়াত। যদিও পরে তাঁদের সেই জুটি ভেঙে যায়। জন-বিপাশার বিচ্ছেদে আঘাত পেয়েছিলেন তাঁদের ভক্তরাও।