অজয় এবং অক্ষয়।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বহিরাগত তত্ত্ব ক্রমশই জোরালো হয়ে উঠেছে বলিপাড়ায়। নেটাগরিকদের ক্ষোভের আঁচ এসে লাগছে স্টারকিডদের গায়ে। কিন্তু জানেন কি, শুধু সুশান্ত বা তাপসী নন, ‘বহিরাগত’ অক্ষয়কেও হতে হয়েছে স্বজনপোষণের নির্লজ্জ শিকার? সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও শুটিংয়ের ঠিক আগের রাতে তাঁকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘‘ভাই, তোমাকে আসতে হবে না।’’ পরিবর্তে কাকে নেওয়া হয়েছিল জানেন? অজয় দেবগণকে।
সাল ১৯৯১। বাবা হরি ওম ভাটিয়া ছিলেন ভারতীয় সেনার অফিসার। অক্ষয়ের বলি-যোগ তখন নেই বললেই চলে। থাকার মধ্যে ছিল বলিউডে কাজ করার ইচ্ছে। কিন্তু ইচ্ছে দিয়েই তো আর বলিউডে কাজ পাওয়া যায় না। দরকার পরিচিতির। কৈশোর থেকেই অক্ষয় ছিলেন মার্শাল আর্টে তুখর। ক্যারাটে, তাইকোন্ডু... সবই ছিল তাঁর নখদর্পণে। সেখান থেকেই পাচ্ছিলেন মডেলিংয়ের ছোটখাটো কাজ।
ঠিক এমন সময়েই ‘ফুল অউর কাঁটে’ ছবির অফার যায় তাঁর কাছে। পরিচালক কুকু কোহালি। সহ-অভিনেতা মধু, অমরেশ পুরী। সব ঠিক, অক্ষয় ছবিটা করবেন। খুব খুশি অভিনেতা। উত্তেজনায় ঘুম উড়েছে খিলাড়ি কুমারের। হঠাৎই শুটিংয়ের আগের রাতে অক্ষয়ের কাছে ফোন যায়। তাঁকে সাফ জানান হয়, ‘‘তোমায় আর দরকার নেই। কাল আসতে হবে না’’। অক্ষয় জানতে পারেন, তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে ওই ছবিরই স্টান্ট মাস্টার বিরু দেবগণের ছেলে অজয়কে।
আরও পড়ুন- পরিচালক বলেছিলেন, আমার জন্য কিউ কি সাস ভি কভি... ফ্লপ হবে: স্মৃতি ইরানি
খারাপ লেগেছিল তাঁর। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। আর সে কারণেই আজ বলিউডে খানদের সঙ্গেই একই সারিতে বসানো হয় তাঁকে। বস্তুত, নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ বলিউডে এক দিনের ব্যাপার নয়। বলিউডের সঙ্গে জড়িত অনেকেই মনে করেন, যুগের পর যুগ ধরে সযত্নে লালিত এই প্রথার শিকার হয়ে এসেছেন বলিউডের বহিরাগতরা।