মেয়ে রেনির সঙ্গে সুস্মিতা সেন।
যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করো। পারিবারিক পরিচিতির জোরে অন্য কারও সুযোগ ছিনিয়ে নিও না। মেয়েকে শিখিয়েছেন সুস্মিতা সেন।
অতিমারির সময়েই বলিউডে প্রথম কাজ করেছেন সুস্মিতার বড় মেয়ে রেনি সেন।
অন্য স্টারকিডদের মতো বড় ব্যানার না হলেও রেনির প্রথম ছবি ‘সুট্টাবাজি’র পরিচালক কবীর খুরানা।
প্রায় রেনিরই বয়সি কবীর পুরস্কার। ভারতীয় অ্যানিমশনের পথপ্রদর্শক ভীমসৈনের পৌত্র। শর্ট ফিল্ম তৈরির করে এরই মধ্যে ৩০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক মনোননয়ন পেয়েছেন। জিতে নিয়েছেন ৮ এর বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। আর এই কবীরেরই পরিচালনায় তৈরি 'সুট্টাবাজি' ছবিতে রেনি অভিনয় করেছেন এক আধুনিক কিশোরীর চরিত্রে। যার একমাত্র সমস্যা নিজের বাড়ির মধ্যে ধূমপান করতে না পারা। কারণ, বাবা মায়ের চোখকে কিছুতেই ফাঁকি দিতে পারে না সে।গল্প ঘুরেছে সেই সমস্যাকে কেন্দ্র করেই ঘটে যাওয়া একের পর এক বিষয় নিয়ে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে রবিবারই। ছবির পোস্টার নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করেছেন রেনি। আর সেই ছবি নিয়েই মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে বসে রেনির কথায় উঠে এসেছে মা সুস্মিতা সেনের দেওয়া নৈতিক শিক্ষার বিষয়।
রেনি জানিয়েছেন, অভিনয়ে আসার আগে তার মা অনেক পরামর্শই দিয়েছেন। তবে তার মধ্যে নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজ পাওয়ার পরামর্শ সবচেয়ে ভাল লেগেছে তাঁর।
A post shared by Sushmita Sen (@sushmitasen47)
মেয়েকে সুস্মিতা বলেছেন, ‘যা করছো আর যা করবে, তা যদি নিজের যোগ্যতায় অর্জন করে থাকো তবেই করবে। নাহলে নয়। সুস্মিতা সেনের মেয়ে হওয়ার জন্য কাজ পেলে তাতে তোমার গুণের কদর হবে না। এভাবে আর যাই করো অন্য কারও সুযোগ কেড়ে নিও না’।
এমনকী পারিবারিক পরিচিতির জোরে যদি রেনির কাছে তেমন সুযোগ আসে, তাহলেও তা নিতে বারণ করেছেন সুস্মিতা। বলেছেন, সেক্ষেত্রে যেন রেনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই কাজ করেন। রেনির কথায় মায়ের থেকে এমন শিক্ষা পেয়ে তিনি গর্বিত।
A post shared by Sushmita Sen (@sushmitasen47)
গত ৫ সেপ্টেম্বর ২১ ছুঁয়েছেন রেনি। তবে অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছে তাঁর দু’বছর বয়স থেকেই। মা সুস্মিতা সেনই তাঁর আদর্শ।এমনকী অনেকসময় ওয়ার্কআউটও করতে দেখা যায় মা-মেয়ে একসঙ্গেই।
A post shared by Sushmita Sen (@sushmitasen47)
A post shared by Sushmita Sen (@sushmitasen47)
অভিনয়ে আসা প্রসঙ্গে রেনি বলেছেন, ‘অভিনয় যে করব তা নিয়ে কখনওই দ্বিধা ছিল না। তবে ‘সুট্টাবাজি’তে কাজের সুযোগ হঠাৎ করেই আসে। কবীর আমার স্কুলের বন্ধু। অনেকদিন পর হঠাৎ ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। গল্প করতে করতেই আমার অভিনয় করার ইচ্ছের কথা বলেছিলাম ওকে। এমন নয় যে ওর থেকে স্ক্রিপ্ট পাওয়ার আশায় ছিলাম।’
A post shared by Renée Sen (@reneesen47)
রেনি জানিয়েছেন কবীর স্ক্রিপ্ট পাঠালে, প্রথমে অবাক হলেও পরে তিনি ভাবেন, যদি অভিনয় করাই তাঁর লক্ষ্য হয়, তবে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসা উচিত হবে না।