খুব কম বয়সেই সাফল্য ছুঁয়ে ফেলেছিলেন দিব্যা ভারতী। ১৯৯০ সালে তাঁর ডেবিউ ফিল্ম তেলুগুর ‘বব্বিলি রাজা’ সুপার হিট হয়েছিল।
একই ভাবে বলিউডে পা রাখার পরই অল্প সময়ের মধ্যেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল মাত্র ১৯ বছর বয়সে দিব্যার মৃত্যু বলিউডের কাছে বিরাট ক্ষতি ছিল।
অভিনয় নয়, দিব্যা অবশ্য প্রথমে বিমানসেবিকা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্রীদেবীর মুখের সঙ্গে এত মিল ছিল তাঁর যে, না চাইতেও প্রচুর ফিল্মের অফার পেতে শুরু করেন তিনি।
কথায় বলে সাফল্য যাঁর সঙ্গী, বিতর্কও নাকি তাঁর সঙ্গী। দিব্যার ক্ষেত্রে হুবহু মিলে গিয়েছিল প্রবাদটা। কেরিয়ারের প্রথম থেকেই বহু বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে একটা বিতর্ক কেরিয়ারে কিছুটা ব্যাকফুটে পাঠিয়েছিল দিব্যাকে।
আমির খানের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শোনা যায়, এক সময় আমির খান নাকি দিব্যাকে একেবারেই পছন্দ করতেন না। তাঁর প্রতি এতটাই বিরক্ত ছিলেন যে, একটা ছবি থেকেও বিদ্যাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু কেন এই বিরক্তি? লন্ডনে বলিউড তারকাদের একটি শো ছিল। সেই শো-তেই দিব্যার পারফরম্যান্সে নাকি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন আমির খান।
শো-তে আমিরের সঙ্গে বিদ্যার একটি পারফরম্যান্স করার কথা ছিল। মিস্টার পারফেকশনিস্ট হিসাবে পরিচিত আমির কাজ নিয়ে চিরকালই ভীষণ খুঁতখুঁতে। অনুশীলনের সময় কিছু স্টেপ ভুল করে ফেলেছিলেন দিব্যা।
এতে নাকি খুব রেগে যান আমির। দিব্যাকে সবার সামনে বকাবকি করেন। এমনকি তাঁকে শো থেকে বাদ দেওয়ার হুমকিও দেন।
প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন দিব্যা। আমিরের ব্যবহারে খারাপও লেগেছিল তাঁর। সেটে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। সে সময় অবশ্য পাশে পেয়েছিলেন সলমন খানকে। শেষে ওই পারফরম্যান্স তিনি আমিরের বদলে সলমন খানের সঙ্গে করেছিলেন।
পরে সাক্ষাত্কারে দিব্যা জানিযেছিলেন, ওই ব্যবহারের জন্য আমির খানের উচিত তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া। এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে মন কষাকষি ছিল।
ওই সাক্ষাত্কারে দিব্যা ভারতী জানিয়েছিলেন, “আমিরের ব্যবহারে খুব আঘাত পেয়েছিলাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেকে বাথরুমে বন্ধ রেখে কেঁদেছিলাম।”
দিব্যা ভারতীর সঙ্গে আমির খান কোনও ফিল্ম করেননি। জানা যায়, ‘ডর’ ছবিতে প্রথমে দিব্যাকে নায়িকা হিসাবে বাছা হয়েছিল।
কিন্তু আমির খান বাধা হয়ে দাঁড়ান। পরিচালককে বাধ্য করেন ওই ফিল্ম থেকে দিব্যাকে সরিয়ে দিতে। তাঁর জায়গায় ফিল্মটি করেছিলেন জুহি চাওলা।