সেন্সর বোর্ডের পরামর্শে প্রতিক্রিয়া জানালেন নীলরতন দত্ত ও রানা সরকার।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর। উদ্যাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ লোগো তৈরি হয়েছে। সেন্সর বোর্ডের নয়া নির্দেশিকা, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর এই নামাঙ্কন সব ভাষার ছবিতে ব্যবহার করতে হবে। ২০২২-২৩ জুড়ে এই লোগো ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে দেশের সমস্ত প্রযোজকদের।
জাতীয় সঙ্গীতের পর কেন্দ্রের তৈরি বিশেষ লোগো ব্যবহারের নির্দেশ নিয়ে কী বলছেন বাংলার প্রযোজকেরা? রাজ্য সরকার অবশ্য এ পর্যন্ত কোনও ছবিতে বিশ্ব বাংলা নামাঙ্কন ব্যবহারের আর্জি জানায়নি।
ছবিতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর নামাঙ্কন ব্যবহারে কোনও অনীহা নেই প্রযোজক রানা সরকারের। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘আমার কোনও আপত্তি নেই। ছবি প্রদর্শনের সময়ে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় এখন। আমার খুবই ভাল লাগে। এমনিতেই ছবির আগে বিজ্ঞাপনী প্রচারের কারণে বহু সংস্থার লোগো ব্যবহার করি। এটা তো দেশ সম্পর্কিত। নির্দেশিকা হাতে পেলে অবশ্যই তা মানব।’’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, কেন্দ্রের নামাঙ্কনের পাশাপাশি তখন তিনি তখন রাজ্য সরকারের বিশ্ব বাংলা নামাঙ্কনও ব্যবহার করতে চাইবেন। এই বিষয়ে সরাসরি অনুরোধও জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সেন্সর বোর্ডের এই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এখনও জানেন না এসকে মুভিজের অশোক ধানুকা। আনন্দবাজার অনলাইনের থেকেই তিনি প্রথম জেনেছেন খবরটি। নামাঙ্কন ব্যবহারে তিনি সানন্দে রাজি। তাঁর যুক্তি, ‘‘দেশবাসী হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব আছে। দেশের স্বাধীনতা ৭৫ বছরে পা রাখতে চলেছে। এ ভাবেই যদি সেই উদ্যাপনে সামিল হতে পারি, অসুবিধা কোথায়?’’ একই ভাবে যদি রাজ্যের লোগো ব্যবহারের প্রসঙ্গ ওঠে? অশোক ধানুকার মতে, দেশ এবং রাজ্যবাসী হিসেবে তিনি এ সব মানতে প্রস্তুত। ছবিতে নামাঙ্কন ব্যবহার নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ক্যামেলিয়া প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার নীলরতন দত্তের সঙ্গে। নীলরতনও এই নির্দেশিকা হাতে পাননি এখনও। তাই নামঙ্কন ব্যবহার করবেন কি করবেন না, সেই বিষয়ে কোনও মতামত জানাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আগে হাতে নির্দেশিকা পাই। যদি লোগো ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয় তা হলে আমাদের প্রযোজক গিল্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব। সংগঠন যা ঠিক করবে, সেটাই মেনে নেব।’’ জাতীয় সঙ্গীতের পরে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট নামাঙ্কন ব্যবহার নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।