দিতিপ্রিয়া রায়
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়েছে আমার। কবে হবে তা এখনও জানি না। যদিও ‘এডুকেশন’ বাদে সব সাবজেক্টের পরীক্ষাই হয়ে গিয়েছিল। উফ, এই লকডাউন শুরু হওয়ার আগে যা গেল। এক দিকে উচ্চমাধ্যমিক, অন্যদিকে শুটিং। ছোটবেলা থেকেই ব্যালান্স করতে শিখে গিয়েছি বলে ম্যানেজ করে নিয়েছি। এখন চাপ অনেকটাই হাল্কা।
ও দিকে শুটিংও বন্ধ। বাড়িতেই রয়েছি। থাকতে তো হবেই। যা অবস্থা চলছে চারিদিকে। বাড়ির পরিচারিকারা আসতে পারছেন না। মা-ই করছে সব। রান্না করা থেকে বাসন ধোয়া— আসলে মায়েদের তো আর লকডাউন হয় না।
আমি কিন্তু মোটেই বসে নেই। রোজ নিয়ম করে সাহায্য করা হচ্ছে না ঠিকই। তবে ফাঁক পেলেই আমিও হাতে হাত লাগাচ্ছি মায়ের সঙ্গে। আঁকতে বরাবরই ভালবাসি আমি। কাজের চাপে কত দিন মন খুলে আঁকতে পারিনি। এখন অফুরন্ত সময়। তাই মন দিয়েছি আঁকায়। রং-তুলিতেই দিন কাটছে আজকাল।
আরও পড়ুন- শুধু যৌনতাতেই বাঁচেন যৌনকর্মীরা? মোদীর ‘দীপাবলি’কে বিঁধে বিধ্বংসী স্বস্তিকা
গল্পের বই পড়ছি। রাসকিন বন্ড শেষ করে খালেদ হুসেইনি নিয়ে বসব। মাঝে মধ্যে ওয়েব সিরিজও দেখছি। কত সব ভাল ভাল ওয়েব সিরিজ এসছে। বন্ধুরাও তো সব বাড়ি বসে। ওদের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা হচ্ছে। ফেসবুকে দেখছি সবাই ভিডিয়ো কলে কনফারেন্স করে সেই স্ক্রিনশট শেয়ার করছেন। আমার আবার ভিডিয়ো কলে কথা বলতে খুব একটা ভাল লাগে না। আমার জন্য ওই হোয়াটস অ্যাপই ঠিক আছে।
আরও পড়ুন- দিল্লির নিজামুদ্দিনের জমায়েতকে ‘ক্রিমিন্যাল অ্যাক্ট’ বলে নেটাগরিকদের রোষের মুখে অপর্ণা
চিন্তা হচ্ছে খুব। এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে জানেন, এই লকডাউনের একটা ভাল দিক আছে। সেই কোন ছোটবেলা থেকে ‘লাইট, ক্যামেরা অ্যাকশনে’ নিজেকে বেঁধে ফেলেছি। সকাল সকাল কলটাইম। এত টায়ার্ড হয়ে যেতাম...
বাবা-মা’র সঙ্গে গল্প করার সময়টাও কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছিল। এখন তো একরাশ অবকাশ। সারাদিন বকবক, গল্প... ওরাও বেশ খুশি। মেয়েকে কাছ ছাড়া করতেই চাইছে না একেবারে।