মিমি চক্রবর্তী।
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের সন্ত্রাস। তার মধ্যে শুরু হয়েছে রমজান। লকডাউনের সময় এক জোট হয়ে ইফতার আর সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আবার নতুন ভাবে উদ্যোগী হলেন অভিনেতা, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। রাজপুর আর সোনারপুর এলাকার যে সব মানুষের সঙ্গে গত বছরও একসঙ্গে বসে ইফতার করেছিলেন তাঁদের কাছে পৌঁছে গেলেন মিমি। এই প্রথম কোনও সাংসদ লাইভ স্ট্রিমিং-এ তাঁর কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বললেন। ‘‘প্রত্যেক বার রমজানের সময় ওই এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাই। কথা বলি। একসঙ্গে খাই। রমজান আসতেই মনে হচ্ছিল, কী করি? আমার দক্ষ অফিসের টিম প্রস্তুত হয়ে গেল। ইফতারের সামগ্রী পাঠালাম আর ওঁদের ফোনে বা ল্যাপটপে সরাসরি অসুবিধের কথা জানতে পারলাম’’, আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন মিমি চক্রবর্তী।
একটি বিশেষ কোডের মাধ্যমে সোনারপুর, রাজপুর অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি। তাঁদের প্রিয় সংসদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে ও ইফতারের সামগ্রী পেয়ে মানুষও আজ খুশি। করোনা সম্পর্কে রাজ্য সরকারের নিয়মাবলীর কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মিমি ওই লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে।
করোনা সতর্কতা নিয়ে বরাবর তৎপর মিমি। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা যুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য নানা রকম টিপস দিচ্ছেন। কখনও তাঁর অফিসের লোকজন খাবার নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কখনও বা ‘চা কাকু’-র মতো মানুষের সারা জীবনের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। লাঙলবেড়িয়া গোবিন্দপুরের কাছে আনন্দ ঘর ফাউন্ডেশনে এর কিছু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এবং এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের মুখে নববর্ষের দিনে হাসি ফুটিয়েছিলেন মিমি। নববর্ষে মোট ১২০ জন শিশুর জন্য জামাকাপড় ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। এ ভাবেই করোনা যুদ্ধে মানুষের পাশে থেকে জীবনের পজিটিভ দিক তুলে ধরছেন মিমি।
আরও পড়ুন: এই কঠিন সময়েও মানিকদা আশা হারাতেন বলে মনে হয় না
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)