(বাঁ দিকে) রাহুল মুখোপাধ্যায় এবং স্বরূপ বিশ্বাস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না, তা নিয়ে তরজা অব্যাহত রইল। ডিরেক্টর্স গিল্ড শুক্রবারই রাহুলের উপর থেকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। কিন্তু শনিবার রাত পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ফেডারেশন। এই বিতর্কে এ বার শামিল হল বাংলার ছোট পর্দার প্রযোজকদের সংগঠন। তাঁদের দাবি, রাহুলের ঘটনা বড় আকার নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
প্রযোজকরা বলেছেন, “আমরা, যাঁরা প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা নিয়মিত নানা সমস্যার সম্মুখীন হই। বাংলা, হিন্দি টিভি প্রযোজনার শুটিং খেয়াল খুশি মতো বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রযোজকদের অতিরিক্ত টেকনিশিয়ান নিতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়াও আরও হাজারো সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া, রাহুলের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা প্রযোজনার দায়িত্বে থাকলেও সেই 'কন্টেন্ট'-এর পরিচালক নির্বাচনের ক্ষমতা পর্যন্ত আমাদের নেই।”
এই বিবৃতিতে ছোট পর্দার প্রযোজকরা আরও যোগ করেন, “পরিচালক কে হবেন, তা স্বাধীন ভাবে প্রযোজক বেছে নিতে পারবেন না। এটা কখনওই বাঞ্ছিত কাজের পরিবেশ নয়। শিল্পী ও শিল্পের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে যে কোনও মূল্যে।”
কিছু দিন আগেই স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হিন্দি ধারাবাহিকের শুটিং বন্ধ করে দেয় ফেডারেশন। নাম না করেও এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। প্রযোজকরা বলছেন, “সামগ্রিক ভাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা হয়েছে, তাতে এখনই সব পক্ষ এগিয়ে এসে সমাধানের চেষ্টা না করলে, ইন্ডাস্ট্রির সমূহ সর্বনাশ হবে। সারা দেশে যে ভাবে আইন মেনে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করা হয়, আমরাও সেই ভাবেই সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে চাই। অনৈতিক ভাবে আমাদের উপর জোর করে সুবিধাবাদী সিস্টেম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”
ছোট পর্দার প্রযোজক সংগঠনের দাবি, “আমরা চাই বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি চালাবার সঠিক গাইডলাইন সকলকে সামনে রেখে তৈরি হোক। সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক সকলকে সামনে রেখে। পুরনো চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম নতুন করে পর্যালোচনা করা হোক। না হলে অদূর ভবিষ্যতে এই ইন্ডাস্ট্রির পতন কেউ আটকাতে পারবে না। এত মানুষের ভবিষ্যৎ শেষ করে দেওয়ার জন্য ইতিহাস হয়তো আমাদের ক্ষমা করবে না।”