কখনও ঝিনুক, কখনও আলো দিয়ে শরীর ঢাকেন। আবার ঢাকেনও না। সবটাই তাঁর মর্জি। ছবি: সংগৃহীত।
কালো ফিতেয় খোপ কাটা, অনেকটা খাঁচার মতো। সেই পোশাক গায়ে নিয়ে রোদ পোহাচ্ছেন উরফি জাভেদ। নামেই পোশাক। শরীরের প্রায় ৯৯ ভাগ দৃশ্যমান। কোনও মতে লজ্জা নিবারণ হয়েছে মগজাস্ত্রের জোরে। তা দেখে বিস্মিত নেটাগরিকরা। কেউ কেউ বললেন, “কষ্ট করে এটুকুই বা পরার দরকার কী ছিল!” কিন্তু উদ্ভাবন যে এমনই উরফির, চমকপ্রদ। খোলা ত্বকে পিছলে যাচ্ছে সূর্যের তেজ। উরফির তেজের কাছে অবশ্য কিছুই না! মাথার চুলেও ঢেউ খেলিয়েছেন মডেল-তারকা। কালো যে তাঁর বরাবরই প্রিয়।
তবে হলিউডের সুপারমডেল বেলা হাদিদও আবার কালোর ভক্ত। অনেক সময় তাঁর বেশভূষার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় উরফির সাজে। এ বারও উরফির কালো স্ট্র্যাপের পোশাক দেখে মন্তব্য ভেসে এল, “বেলাকে যতই নকল করুন, আপনি বিশ্রী। কিছুই পারেন না।” এ অবশ্য নিন্দকের কথা। প্রশংসায় ভরিয়ে ভালবাসাও এঁকে দিয়েছেন অনেক অনুরাগী। ‘আগুন!’ বললেন কেউ কেউ।
এ দিকে উরফি আগেই শংসাপত্র দিয়ে রেখেছেন নিজেকে। ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “নির্লজ্জ, কুরুচিকর, অশ্লীল কিন্তু তা-ও সুন্দর...” নিজের চোখে প্রতি দিন এ ভাবেই কি সংজ্ঞায়িত হন উরফি?
কখনও ঝিনুক, কখনও আলো দিয়ে শরীর ঢাকেন। আবার ঢাকেনও না। সবটাই তাঁর মর্জি। লোকে বলেন, উরফি জাভেদ দুঃসাহসী। তবে নিত্যনতুন ফ্যাশনের পোশাক যে তাঁকে বেকায়দায়ও ফেলে, তার প্রমাণ মিলছে সম্প্রতি। হলিউড তারকা বেলার পোশাক নকল করতে গিয়ে একেবারে বেআব্রু হয়ে পড়েছিলেন জনসমক্ষে। বুকের উপর তার দিয়ে বানানো ফুসফুসের নকশা ছিল সে বার। সেটিই গিঁট দিয়ে বাঁধা পিছনে। সঙ্গে ট্রাউজার্স। কিন্তু পাশ ফিরতেই স্তন দৃশ্যমান। স্তনবৃন্ত অবধি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। অর্থাৎ, লজ্জা নিবারণের জন্য তারের ফুসফুস যথেষ্ট ছিল না। সেই দেখে কটাক্ষের বন্যা। যদিও গা করেননি উরফি। সপ্রতিভ হয়েই ক্যামেরায় পোজ দেন। নেটদুনিয়া নিন্দায় ভরলেও বরাবরের মতো নির্বিকার প্রাক্তন ‘বিগ বস’ তারকা।