তথাগতকে কটাক্ষ পায়েলের
বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের মন্তব্যে মঙ্গলবার উত্তাল টলিউড। যদিও মুখ খোলেননি কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ৩ অভিনেত্রীর অন্যতম পায়েল সরকার। মুঠোফোনেও তাঁর সাড়া মেলেনি। অবশেষে পাল্টা টুইটে তিনি জবাব ফিরিয়ে দিলেন প্রবীণ নেতাকে। বিনীত কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, এক দিনেই কেউ রাজনীতিবিদ হয়ে যায় না। তথাগত রায়ও হননি।
পায়েল এখানেই থামেননি। তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন এর আগে কোনও দিন তিনি রাজনীতির আঙিনায় প্রত্যক্ষ ভাবে পা রাখেননি। তবে তাঁর দাবি, ‘‘অভিনয় পেশা হলে রাজনীতি আমার নেশা। তাই বিজেপির হাত ধরে রাজনীতিতে আসা।’’ পায়েলের মতে, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা বুঝেছিলেন বলেই তাঁর প্রতি ভরসা রেখেছিলেন। এবং জেতার জন্য তিনিও মরিয়া ছিলেন।
২০০ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বিজেপি শিবির, এমনটাই দাবি ছিল দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। ২১-এর নির্বাচনে সেই আশা অধরা। বিজেপি ২ অঙ্কের সংখ্যায় থমকে গিয়েছে। ফলপ্রকাশের পরেই ব্যর্থতার কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া, বিশ্লেষণ শুরু দলের ভিতরে। এমন পরিস্থিতিতে তথাগতের নিশানায় ৩ অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী। বর্ষীয়ান নেতার দাবি, ‘এই ৩ নগরীর নটীরা নির্বাচনের টাকা উড়িয়েছেন। মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে নিজস্বী তুলেছেন। এবং হেরে ভূত হয়েছেন।’ তথাগতের মতে, নির্বাচনের ১ মাস আগে বিরোধী শিবিরের সঙ্গে দলীয় প্রার্থীদের এই আচরণ একেবারেই ভাল চোখে দেখেননি রাজ্যের মানুষ। তাই এই ফলাফল। এমন অনভিজ্ঞদের কে প্রার্থী পদ দিয়েছে? সেই নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
তথাগতকে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়েছেন টলিউডের একাধিক অভিনেতা। ধারাবাহিক কৃষ্ণকলির নিখিল নীল ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, তথাগত রায় কি এটাই বোঝাতে চাইছেন, রাজনীতিতে পা রাখলে সমস্ত সৌজন্য, শিষ্টাচার, সভ্যতা, মানবিকতা ভুলতে হবে?