কাঞ্চন মল্লিক, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
সায়নী ঘোষের পর এ বার বিজেপি-র অভিনেত্রী প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পার্নো মিত্র, পায়েল সরকার ও তনুশ্রী চক্রবর্তীকে তীব্র কটাক্ষ তথাগত রায়ের। তথাগতর টুইট বলছে, ২০২১-র নির্বাচনে এঁদের পরাজয়ের ফলেই এমন কটাক্ষ করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল।
কী বলেছেন তিনি? টুইটে তিনি মূল অভিযোগ করেছেন সেই ঘটনাকে যে দিন দোলের দিন গঙ্গাবক্ষে মদন মিত্রের সঙ্গে ৩ অভিনেত্রী রং খেলেছেন। দাবি করেছেন, নির্বাচনের ১ মাস আগে ‘বাংলার ক্রেজ’-এর সঙ্গে প্রকাশ্যে দোল খেলা ভাল চোখে দেখেনি বাংলা। বিজেপি-র ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে ওই ছবি এবং ভিডিয়ো যথেষ্ট। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ দলের প্রথম সারির নেতাদের কাছে, যাঁদের রাজনৈতিক শিক্ষা, অভিজ্ঞতা কিছুই নেই তাঁদের কেন দল এ ভাবে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিলেন তাঁরা?
একমাত্র হিরণ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া গেরুয়া শিবিরের কোনও তারকা প্রার্থীই জেতেননি। বাকি অভিনেতাদের কটাক্ষ করা আদৌ কি যুক্তিযুক্ত? আনন্দবাজার ডিজিটাল জানতে চেয়েছিল শাসকদলের নবনির্বাচিত বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের কাছে। যিনি পেশায় অভিনেতা। কাঞ্চন শুরুতেই জানালেন, দোল খেলার দিনেই নিজের দলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল এই অভিনেত্রী বন্ধুদের। তথাগত সেই পুরনো ক্ষতকেই নতুন করে খুঁচিয়ে তুলছেন।
পেশাগত দিক থেকে কী মত কাঞ্চনের? অভিনেতা-বিধায়কের সাফ জবাব, ‘‘আমাদের পেশা নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে তার প্রতিবাদ জানাবই। আমিও ব্যতিক্রমী নই। বিশেষ করে পায়েল, পার্নো এবং শ্রাবন্তীকে বিজেপি যে ভাবে কটাক্ষ করল সত্যিই নিন্দনীয়।’’ একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, ওঁরাও এই বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেই বোধহয় ভাল করতেন। কারণ, সেখানে অন্য দলের আর কোনও অভিনেতা ছিলেন না।
কাঞ্চনের যুক্তি, শুধুই অভিনেতারা মিলে দোল খেললে এই কটাক্ষ তাঁদের শুনতে হত না।