গত দু’বছর ধরেই চেষ্টাটা চালিয়ে যাচ্ছেন রাইমা সেন। দিদিমা মারা গিয়েছেন বছর দুয়েকের বেশি সময় হয়ে গেল। নাতনির ইচ্ছে, আগামী প্রজন্মের স্মৃতিতে যেন চিরনতুন হয়ে থাকেন তাঁর দিদিমা সুচিত্রা। আর সে জন্য বছর দুয়েক ধরেই বলিউডের নামজাদা প্রযোজকদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন তিনি। এমনকী, ওই বায়োপিকের জন্য এখনও পর্যন্ত মণিরত্মম বা সঞ্জয় লীলা বনশালীর মতো বাঘা বাঘা পরিচালকের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি।
শুধু কী পরিচালক, রাইমা জানিয়েছেন, সুচিত্রার ভূমিকায় বিদ্যা বালনকেও নাকি অ্যাপ্রোচ করা হয়েছিল। বিদ্যাও আগ্রহী ছিলেন এই বায়োপিক নিয়ে। তবে ডেট নিয়ে বিদ্যার সমস্যা থাকায় প্রোজেক্ট থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি। তা ছাড়া, বিদ্যার মতে সুচিত্রার সঙ্গে তাঁর মুখের বিশেষ মিলও নেই। ফলে, শেষমেশ গোটাটাই ভেস্তে যায়। তবে তিনি নাকি জানিয়েছিলেন, সুচিত্রার চরিত্রে সবচেয়ে ভাল মানাবে রাইমাকেই। বাংলা ফিল্মে রাইমার থেকে ভাল চয়েস নাকি আর হতে পারে না।
আরও পড়ুন
বলিউডে টিকে থাকতে গেলে ব্যাক আপ চাই, বিস্ফোরক রাইমা
তা এ নিয়ে নাতনির কী মত? বলিউডে তো বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ‘পরিণীতা’, ‘একলব্য- দ্য রয়্যাল গার্ড’ বা ‘হানিমুন ট্র্যাভেলস প্রাইভএট লিমিটেড’ বা ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ‘চোখের বালি’— রাইমা কিন্তু বেশ উজ্জ্বল প্রতিটি চরিত্রেই। সম্প্রতি ‘বলিউড ডায়েরিজ’ রিলিজ করেছে। রাইমা নিজে বলেন, “ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে বলিউডে ব্রেক পাওয়াটা সহজ হয়ে যায় ঠিকই। তবে ফিল্ম ইন্ড্রাটিজে টিকে থাকতে গেলে নিজের জায়গা ধরে রাখতে হয়। আমি যা আলসে...!”
কারণ যাই হোক না কেন, বাঙালির ম্যাটিনি আইডলের স্মৃতি তাজা রাখতে শেষমেশ সুচিত্রার বায়োপিক হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কিন্তু ধোঁয়াশা রয়ে গেল।