বাঁ দিকে ওয়াজিদ খান। ডান দিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ভাই সাজিদ।
“কানামাছি খেলায় একজন শুধু খুঁজেই যায়, আর অন্য জন কিছুতেই কাছে আসতে চায় না। ফাঁকি দিয়ে চলেই যায়...” ইরফান খানের মৃত্যুতে টুইটারে কথাগুলো লিখেছিলেন ওয়াজিদ খান। দুনিয়া বুঝতে পারেনি নিজেও তখন কতটা অসুস্থ ছিলেন ওয়াজিদ। এক দিকে কিডনিতে সংক্রমণ, অন্যদিকে হৃদপিণ্ডে ব্লকেজ।
ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের চেম্বুরের এক হাসপাতালে। এরই মধ্যে তিন দিন আগে কোভিড পজেটিভ ধরা পড়ে তাঁর। সঙ্গে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। ব্যস সব শেষ। রবিবার গভীর রাতে মারা যান ওয়াজিদ। খবরটা প্রথম জানিয়েছিলেন সোনু নিগম। এরপর ওয়াজিদের ভাই সাজিদ পিটিআই কে জানান, “হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন তিনি। ওর কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল।” গায়ক এবং সুরকার সেলিম মার্চেন্টও পিটিআই করে বলেন, “কিছু দিন আগেই কিডনি ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট হয় ওয়াজিদের। সেখান থেকেই কিডনিতে সংক্রমণ ছড়ায়। চার দিন ধরে তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল।” জানা গিয়েছে, ছিল উচ্চরক্তচাপের সমস্যাও।
বয়স মাত্র ৪২ বছর হলেও একসঙ্গে এত রোগের ধাক্কা নিতে পারেননি তিনি। যে ইরফানের জন্য একমাস আগে তিনি নিজের টুইটার থেকে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন এক মাস দু’ দিন পর তাঁর পাশেই মুম্বইয়ের ভারসোভা কবরস্থানে ঠাঁই হল ওয়াজিদের।
ইরফানের জন্য লেখা ওয়াজিদের টুইট
শেষযাত্রায় সঙ্গে ছিলেন পরিচালক আদিত্য পাঞ্চলি। ভাই সাজিদ কান্নায় ভেঙে পড়েন। যে সাজিদ-ওয়াজিদ জুটি প্রায় কুড়ি বছর ধরে ‘দাবাং’, ‘তেরে নাম’-এর মতো ব্লকবাস্টার ছবির সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন সেই জুটিতেই ভাঙন ধরল আজ। চলে গেলেন ওয়াজিদ। স্মৃতি আঁকড়ে বসে রইলেন সাজিদ খান।
আরও পড়ুন- আইপিএলের টাইটেল ট্র্যাকে সুর দেওয়া বলিউডের অন্যতম সুপারহিট সুরকার ওয়াজিদ ছিলেন জনপ্রিয় গায়কও