বিবেক-ঐশ্বর্যা। ছবি: সংগৃহীত।
ঘর ভাঙছে বচ্চন পরিবারের বৌমার। গত কয়েক মাস ধরে বলিপাড়া সরগরম এই কানাঘুষোতেই। খবর, ‘জলসা’য় নাকি দিন দিন বেড়েই চলেছে অশান্তি। শোনা যায়, শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দার সঙ্গে এমনিতেই বনিবনা হয় না ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের। সেই তিক্ততা নাকি আরও বেড়েছে গত কয়েক মাসে। গত নভেম্বর নিজের ৫০তম জন্মদিন একাই কাটিয়েছিলেন বচ্চন পরিবারের বৌমা। পাশে পেয়েছিলেন স্রেফ মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন ও মা বৃন্দা রাইকে।
সমাজমাধ্যমের পাতাতেও প্রায় শুকনো মুখেই স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দায় সেরেছিলেন জুনিয়র বচ্চন। মাসখানেক আগে এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে দেখা যায়নি বিয়ের আংটিও। এর মধ্যেই শোনা যায়, বচ্চন পরিবারে অশান্তি চরমে পৌঁছনোর ফলে নাকি মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ঐশ্বর্যা। ১৬ বছরের দাম্পত্যজীবন কি ভেস্তে যাবে তা হলে? এই জল্পনার মধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দরাজ গলায় নিজের প্রাক্তনের প্রশংসা করছেন ঐশ্বর্যা।
সলমন খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যার এক সময়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা বলিপাড়ায় সুবিদিত। দু’জনের কেউই সেই সম্পর্ক জনসমক্ষে স্বীকার না করলেও তা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন নির্যাতিতও হয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। তার পরেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন ঐশ্বর্যা। শোনা যায়, সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে বিবেকের প্রেমে পড়েন নায়িকা। খবর, ‘কিঁউ! হো গয়া না’ ছবির সেটে বিবেক ও ঐশ্বর্যার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। গোটা বলিপাড়া সেই সম্পর্কের কথা জানলেও বিবেকের বাবা সুরেশ নাকি ছেলের সম্পর্কের কথা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না। এক সাক্ষাৎকারে সুরেশ বলেন, ‘‘আমি তো বেশির ভাগ বিষয় সম্পর্কে জানিই না। বিবেক আমাকে কিছু জানায়নি। আমাকে রামগোপাল বর্মা জানিয়েছিলেন। তার আগে আমাকে অন্য কেউ জানিয়েছিলেন। আমি বিবেককে বুঝিয়ে বলেছিলাম, সাবধান করেছিলাম... ও কথা শোনেননি।’’
ঠিক কী কারণে ছেলেকে সাবধান করেছিলেন সুরেশ? তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসার পরে নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, সলমনের প্রাক্তনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে যে ছেলের পেশাগত জীবনে ক্ষতি হতে পারে, তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন সুরেশ। সেই আশঙ্কা থেকেই হয়তো বিবেককে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন তিনি।