(বাঁ দিকে) সলমন খান, বিবেক ওবেরয়। ছবি: সংগৃহীত।
‘কোম্পানি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করার পরেও এক সময় হাতে কাজ ছিল না বিবেক ওবেরয়ের। তাঁর প্রেম জীবন নিয়েও কম চর্চা হয়নি একসময়ে। ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কারণে একসময় সলমন খানের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন বিবেক। তার প্রভাব নাকি পড়ে তাঁর অভিনয় জীবনে। ঐশ্বর্যাকে নিয়েই বিবেকের সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কথা কাটাকাটি হয় সলমনের। সে সময় বিবেক এ-ও জানিয়েছিলেন যে, সলমন নাকি তাঁকে হুমকিও দিয়েছিলেন।
যদিও, বিবেকের সঙ্গেও ঐশ্বর্যার সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। ২০০৭ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঐশ্বর্যার। পরে ২০১০ সালে বিয়ে করেন বিবেক। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাঁর। তবে ছেলের কাছে নিজের করা ছবির জন্য ধমক খেতে হয় বিবেককে।
২০০৯ সালে বিবেকের ‘প্রিন্স’ ছবিটি মুক্তি পায়। তার পরের বছর বিয়ে। বাড়িতে বাবার অভিনীত এই ছবি দেখতে গিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় অভিনেতার ছেলে ভিভান। এই ছবিতে বাবা অন্য নায়িকাকে চুম্বন করছেন দেখে প্রতিবাদ জানায় তাঁর ছেলে। মেয়ে অমেয়াও খুব ভাল ভাবে নেয়নি বাবাকে অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখে। এক সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেন, “আসলে ওরা অবাক হয়ে যায় আমি কী ভাবে ওদের মা ছাড়া অন্য কাউকে চুমু খেলাম। রেগে গিয়ে নিজের মাকে জিজ্ঞেস করে বসে, তুমি কী ভাবে এটা করতে দিলে? প্রথমে অভিনেতা বুঝে উঠতেই পারছিলেন না ছেলের কথাতে কী প্রতিক্রিয়া দেবেন। পরে বিবেক ছেলেকে কথা দেন, তিনি আর কখনও ছেলের মা (স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা) ছাড়া অন্য কাউকে চুমু খাবেন না!” মেয়ে অমেয়াও নাকি অর্ধেক ছবি না দেখেই উঠে চলে যায়। যদিও তার পর থেকে পর্দায় সে ভাবে কোনও নায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায়নি অভিনেতাকে।
সম্প্রতি রোহিত শেট্টি পরিচালিত ‘ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্স’ ওয়েব সিরিজ়ে দর্শক বিবেককে দেখেছেন। এ ছাড়াও, অভিনেতার বেশ কিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।