পরিচালক স্পষ্ট করতে চাইলেন যে, কোনও বিশেষ সিনেমা বা সিরিজ় সম্পর্কে তিনি বলছেন না, তবু বোঝা গেল তাঁর লক্ষ্য ‘জুবিলি’। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী টুইট করে সমালোচনা করলেন বলিউডে সাম্প্রতিক কালে তৈরি হওয়া ‘পিরিয়ড পিস’ নিয়ে। যদিও পরিচালক বলতে চাইলেন যে, কোনও বিশেষ সিনেমা বা সিরিজ় সম্পর্কে তিনি বলছেন না। তবু বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না, তাঁর লক্ষ্য সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ ‘জুবিলি’। ‘জুবিলি’র গল্প ১৯৫০ সালের মুম্বই শহরকে কেন্দ্র করে। বিক্রমাদিত্য মতওয়ানির পরিচালনায় এই সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন সিদ্ধান্ত গুপ্ত, অদিতি রাও হায়দরি, অপারশক্তি খুরানার মতো তারকা। তবে বিশেষ আকর্ষণ টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই কাজকেই কি এক হাত নিলেন বিবেক?
বিবেক লিখেছেন, “এই সময়ে বলিউড কেন পিরিয়ড ছবি তৈরি করছে? এগুলো গতিহীন, শিথিল এবং নিষ্প্রাণ। দেখতে পাচ্ছি, সেই সময়ের লোকজনও আমাদের সময়ের লোকজনের মতোই ব্যস্ত। তারা এই সময়ের মতোই শৌখিন পোশাক পরছে, কেন সেই সময়ের উপযোগী পোশাক পরছে না? কেন আমরা তেমন পিরিয়ড ছবি বানাতে পারছি না, যেখানে কুশীলব স্বাভাবিক এবং সেই সময়কালের গণ্ডির মধ্যেই বাঁধা থাকবে?”
বিবেক প্রশ্ন তোলেন, “ কেন বলিউডের পিরিয়ড ছবিগুলো পুরনো গ্রামোফোন, ট্রাম, কোঠাবাড়ি ছাড়া তৈরি করা যাচ্ছে না? কেন সব পুরুষের কোঁকড়ানো চুল? এমন ভাবে চরিত্রগুলো কথা বলে, যেন সব সময়ই নেশাগ্রস্ত হয়ে রয়েছে! এ সব কী!”
এই একঘেয়েমির কারণ অনুসন্ধান করে বিবেক রসিকতা করে জানিয়েছেন, আসলে নির্মাতারা সব সময় সমালোচকদের প্রশংসাধন্য হতে চান। দর্শক নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথাই নেই!
তাঁর পোস্ট পড়ে সকলেই মিল পাচ্ছেন ৭ এপ্রিল ওটিটি মঞ্চে মুক্তি পাওয়া ‘জুবিলি’-র সঙ্গে। তাতেও কোঠাবাড়ি, গ্রামোফোন ইত্যাদির ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে কোঁকড়নো চুলের পুরুষ চরিত্রও।
যদিও বিবেক যে আর বিতর্কে থাকতে চান না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কোনও ছবি বা সিরিজের নাম না করেই সমালোচনা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দর্শক হিসাবে তাঁর সাধারণ পর্যবেক্ষণ থেকেই এই সব কথা বলা। এর আগে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবিটি বানিয়ে তুমুল বিতর্কে পড়তে হয়েছে বিবেককে, যার রেশ এখনও বর্তমান।