অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের তরফে আমন্ত্রণ পেলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। তার দেড় বছরের মাথায় মুক্তি পেল ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত নতুন ছবি। মুক্তির আগে ছবি নিয়ে চর্চা হলেও বক্স অফিসে তেমন ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। ‘জওয়ান’ ঝড়ে রীতিমতো কাবু ওই ছবি। তবে স্রেফ ব্যবসার মাপকাঠিতে ছবির সাফল্য মাপতে নারাজ পরিচালক। বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ না দেখলেও দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশংসা আদায় করেছে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। এ বার অস্কারের মতো মঞ্চের তরফেও ডাক পেলেন বিবেক!
মূল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য অস্কার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলেও অ্যাকাডেমি লাইব্রেরির নামডাকও কিছু কম নয়। সেই লাইব্রেরির তরফেই আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিবেক। ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ ছবির চিত্রনাট্য ‘অ্যাকাডেমি কালেকশন্স’-এর তালিকায় যুক্ত করতে চান ‘অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’ কর্তৃপক্ষ। সেই মর্মেই বিবেককে একটি ইমেলও করেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ইমেলের ঝলক শেয়ার করে বিবেক লেখেন, ‘‘আমার এই খবর জানাতে গর্ব হচ্ছে যে, অস্কারের লাইব্রেরিতে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’-এর চিত্রনাট্য স্থান পেতে চলেছে। এটা ভেবে আনন্দ হচ্ছে যে, কয়েকশো বছর পরেও ভারতীয় সুপারহিরোদের এই গল্প মানুষ পড়ার সুযোগ পাবেন।’’ এর আগে অস্কারে দৌড়ে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বিবেকের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। যদিও শেষ পর্যন্ত দৌড় থেকে ছিটকে যায় ছবি। তবে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’-এর হাত ধরে অস্কার পর্যন্ত পৌঁছেই গেলেন বিবেক।
গত মাসের শেষের দিকে মুক্তি পাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত ব্যবসার নিরিখে তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। তবে তাতে দমতে রাজি নন বিবেক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেক জানান, ইচ্ছে করেই নাকি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থেকেছে বলিপাড়া। প্রচার তো দূরের কথা, ছবির সমালোচনা করতেও নাকি বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছেন না বলিউডের তাবড় ব্যক্তিত্বরা। বিবেক বলেন, ‘‘সবাই ভাবছে, এই ছবিতেও বোধ হয় রাজনীতির ছোঁয়া রয়েছে। আরে, আমার এই ছবিটা তো কোভিডের ছবিও নয়। ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ আদপে সুপারহিরো ফিল্ম।’’ বিবেকের দাবি, নিজের ছবিতে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের পোশাকে সুপারহিরোদের তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, ‘‘অনেকেই ভেবেছিলেন, ভারতীয়রা কিছুই করতে পারবেন না। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরাই সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন তৈরি করেছিলেন। তাঁরা সত্যিই সুপারহিরো! আর আমার ছবিও সেই সুপারহিরোদের নিয়েই।’’