আসছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স: আনরিপোর্টেড’ —ফাইল চিত্র।
তাঁর ছবি ‘অশ্লীল’, ‘প্রচারধর্মী’ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন নির্দেশনার কাজ ছেড়ে দেবেন, চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এ বার নতুন ঘোষণা বিবেকের। তিনি জনান, এ বার ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স: আনরিপোর্টেড’ বানাবেন। এই ছবিতে কাশ্মীরে নিপীড়িতদের সত্য যা ঢাকা পড়ে থাকে, তা-ই তুলে ধরবেন।
গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শেষ দিন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা ক্রমবর্ধন। প্রকাশ্যে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইজ়রায়েলি পরিচালক নাদাভ ল্যাপিড। জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনিই। বিবেক পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’কে সর্বসমক্ষে ‘অশ্লীল’ ও ‘প্রচারধর্মী’ বলে মন্তব্য করেন।
খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ দেন বিবেক। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবিতে একটি দৃশ্যেও যদি ভুল তথ্য প্রদর্শন করা হয়ে থাকে, তা প্রমাণ করুন বিদ্বজ্জনেররা। পরিচালকের সাফ কথা ছিল, যদি কেউ ভুল ধরতে পারেন এবং প্রমাণ দিতে পারেন, ছবি বানানো ছেড়ে দেবেন তিনি।
মাস কয়েক আগেও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ ঘিরে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। যদিও ভারত সরকারের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছিল ছবিটি। সোমবার, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিনে জুরি বোর্ডের শীর্ষে থাকা ইজ়রায়েলি পরিচালকের এই মন্তব্য রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। নাদাভের এ হেন মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমেছে ইফি-র জুরি বোর্ড। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘সবটাই পরিচালকের ব্যক্তিগত মতামত।’’ এমনকি, ইজারায়েলের রাষ্ট্রদূত ক্ষমা চেয়েছেন ভারতীয় নাগরিকদের কাছে। বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে কাশ্মীর ফাইলস এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতির চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।