কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। ছবি: সংগৃহীত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান তাঁর কণ্ঠে জীবন্ত হয়েছে বার বার। গত ১২ অক্টোবর রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা সঙ্গীতশিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং শতবর্ষ কমিটি বছরভর একাধিক অনুষ্ঠান করছে। এ বার বিশ্বভারতী বিনয় ভবন এবং কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট -এর আয়োজনে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে শিল্পীর শতবর্ষ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হতে চলেছে। ‘শতবর্ষ পরে’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজিত হবে।
এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন। অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে বিনয় ভবনের ছাত্রছাত্রীরা নৃত্য ও গীত পরিবেশন করবেন। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে ‘কণিকাযাপন’। সঙ্গীতে থাকবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শ্রীকান্ত আচার্য, রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, মানিনী মুখোপাধ্যায়, ঋতপা ভট্টাচার্য এবং ‘কনিকাধারা’র ছাত্রছাত্রীরা। পাঠে থাকবেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌমিত্র মিত্র।
অনুষ্ঠানটির অন্যতম আয়োজক বিনয় ভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সমীরণ মণ্ডল বলেছেন “কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শতবর্ষে এই অনুষ্ঠানটি বিনয় ভবনের শ্রদ্ধার্ঘ্য তাঁকে। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বিশ্বের, ভারতবর্ষের এবং অবশ্যই শান্তিনিকেতনের ও বিশ্বভারতীর গর্ব। তাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা ধন্য। বিনয় ভবনের উল্টো দিকের অ্যান্ড্রুজপল্লিতেই কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি এবং বিনয় ভবন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি এক সময় নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন। ফলে আমাদের এই অনুষ্ঠানটি করা কর্তব্য।”
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-এর সম্পাদক প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় বলেন “শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্বভারতী ও বিনয় ভবনের এই যৌথ অনুষ্ঠান আমাদের কাছে খুবই আনন্দের এবং গর্বের। বিশ্বভারতীকে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রতিষ্ঠান বলে মনে করতেন। আজীবন রবীন্দ্রনাথের আদর্শে, রবীন্দ্রনাথের জীবনবোধ এবং তাঁর গানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সেবা করে গিয়েছেন। বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনের আদর্শ তিনি তাঁর জীবনে এবং মননে আজীবন লালন করেছিলেন। ফলে বিশ্বভারতীর সঙ্গে এই যৌথ অনুষ্ঠান আমাদের কাছে অন্যতম প্রাসঙ্গিকতা বহন করে আনছে।”