পার্থ এবং প্রিয়ঙ্কের সঙ্গে বিকাশ।
"হ্যাঁ, আমি উভকামী। সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম পার্থ সমথান আর প্রিয়ঙ্ক শর্মার সঙ্গে। কিন্তু কারোর ওপরেই জোর খাটাইনি", টুইটে নিজের অবস্থান নিয়ে হঠাৎই অকপট হলেন বিকাশ গুপ্তা। তাঁর মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হল আরব সাগরের ঢেউয়ে লুকিয়ে থাকা আরও এক বিশেষ সম্পর্কের দুনিয়া।
উভকামীদের কী চোখে দেখে বি-টাউন? শনিবার ৫৩ মিনিটের একটি লম্বা ভিডিও পোস্টে সে কথাই কবুল করেন বিকাশ। শুরুতেই জানান, বলিউডের চোখে নতুন আবিষ্কার হয়ে উঠেছিলেন তিনি, পার্থর কথা জানাজানি হতেই। বিকাশ যেন অষ্টম আশ্চর্য বস্তু!
বিকাশের বিরুদ্ধে পার্থর অভিযোগ ছিল, যৌন হেনস্থা না করলেও তাঁর শরীরে বিকাশের স্পর্শ ঠিক ছিল না। এই অভিযোগের উত্তর তিনি আরও আগে দিতে পারতেন কিন্তু পার্থর মাকে তিনি কথা দিয়েছিলেন, কাদা ছোড়াছুড়িতে তিনি নামবেন না।
এরপরেই বিকাশ দিনের আলোয় আনেন প্রিয়ঙ্কের সঙ্গে তাঁর দেড় বছরের সম্পর্কের কথা। প্রিয়ঙ্ক বিকাশের সঙ্গে টানা বছর দেড়েক লিভ ইন করেছেন। একসঙ্গে তাঁরা বিগ বস-এর ঘরেও যান।
দেখুন বিকাশের টুইট
রিয়্যালিটি শোয়ের পরেই সমস্যা দেখা দেয় প্রিয়ঙ্ক-বিকাশের মধ্যে। বিকাশ বলেন, তিনি প্রচুর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন এই সম্পর্ক থেকে। যদিও বলিপাড়া জানত, প্রিয়ঙ্ক বিকাশের অন্যায়ের শিকার। বিকাশ আরও জানান, তিনি কোনও দিন কাস্টিং কাউচের মতো ঘৃণ্য আচরণ করেননি এঁদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- ‘একাই ১০০!’ চাপে থাকা বাবাকে প্রশংসায় ভরালেন আলিয়া
এখানেই শেষ নয়। বিকাশের আরও দাবি, দু’বছর সম্পর্কে থাকার পরে হঠাৎই পার্থ বিকাশের নামে অভিযোগ দায়ের করে সরে যান। ঘটনার তিন বছর পরে আবার ফিরে এলে সব ভুলে তাঁকে আপন করে নেন বিকাশ। পার্থের কেরিয়ারে যাতে দাগ না লাগে তার জন্য কোনও দিন মুখ ফুটে এই সম্পর্কের কথা জানাননি তিনি।
বিকাশের কথায়, তাঁর জীবনে সত্যিকারের ছাপ রেখে গেছেন প্রিয়ঙ্ক। প্রথমে বন্ধুত্ব, তার থেকে ভালবাসা। এই সম্পর্ক কিছুতেই ভুলতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন- সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ, রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা
উভকামী হওয়ায় বিকাশকে প্রচুর অপবাদ, সমালোচনা শুনতে হয়েছে বহুজনের কাছ থেকে। পাশে পাননি পরিবারকেও। কোন মা-বাবা মেনে নিতে পারেন সন্তানের এই ধরনের চাওয়া, কামনা? তার পরেও নিজেকে বদলাতে পারেননি, বদলানোর চেষ্টাও করেননি বিকাশ। তিনি যখন নিজের অস্তিত্ব সংকটে জেরবার, তখন পাশে পান করণ কুন্দ্রা এবং একতা কপূরকে। তিনি যেমন ঠিক তেমন ভাবেই তাঁকে তাঁরা গ্রহণ করেছেন। কাজ দিয়েছেন। আগলেছেন বড় দাদা, দিদির মতোই।
বিকাশের গতকালের টুইট সোশ্যালে ঘুরছে ভাইরাল হয়ে। আর বলছে, এভাবেই সম্পর্কের সমীকরণের আলেয়ায় যুগ যুগ ধরে রঙিন আরব সাগরের তীরের আরব্য রজনী।