অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোণ্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝে পাঁচ বছর তাঁর ছবি সাফল্যের মুখে দেখেনি। আশা ছিল বলিউডে তাঁর অভিষেক নিয়ে। তবে প্রথম হিন্দি ছবি ‘লাইগার’ একেবার ব্যর্থ বক্স অফিসে। ফের দক্ষিণেই ফিরে যান অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোণ্ডা। সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ‘কুশি’ ছবিতে। মন ভাল করা প্রেমের ছবি করতেই ফের সাফল্যের মুখ দেখলেন বিজয়। প্রথম সপ্তাহে এই ছবি শুধু ভারতে প্রায় ৩৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি অভিনেতা। এ বার সেই খুশি ভাগ করে নেবেন তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে। পারিশ্রমিকে প্রাপ্ত ১ কোটি টাকা দান করবেন অনুরাগীদের মধ্যে।
‘কুশি’র কাজ শুরু করার আগে ১০০ অনুরাগীকে বিনামূল্য মানালি ভ্রমণে পাঠিয়েছিলেন অভিনেতা। এ বার ছবি সফল হতেই প্রায় ১০০ জন পরিবারকে ১ লাখ টাকা দান করবেন অভিনেতা। তার পারিশ্রমিকের একটা অংশ অনুরাগীদের দানের মাধ্যমে সাফল্য উদ্যাপন করবেন অভিনেতা। এই মুহূর্তে আনন্দে ভাসছেন বিজয় সেটাই ভাগ করে নিতে চাইছেন তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে। বিজয় বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি, বলা যেতে পারে আমরা খুশি। জানি না, আমি ঠিক করছি না কি ভুল। কিন্তু এই আনন্দ আমি আমার অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে না পারলে স্বস্তিতে ঘুমোতে পারব না। তাই এই ছবির পারিশ্রমিকের ১ কোটি টাকা আমি দান করব ১০০ জন পরিবারের মধ্যে।’’
তবে এই ১০০ জন পরিবারের বাছাইয়ের পদ্ধতিকে কী হবে, তা নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় জানাবেন অভিনেতা। ‘কুশি’ ছবির সাফল্য উদ্যাপন করতে আগামী ১০ দিন হায়দরাবাদে থাকবেন অভিনেতা, তার আগেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বিজয় এমনটাই জানা যাচ্ছে।
তবে এই প্রথম নয়। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছু অনুরাগীকে বাছাই করে তাঁদের ভালবাসায় ভরিয়ে দেন বিজয়। এ বছর তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে অনেকেই পাহাড়প্রেমী দেখে তাঁদের একত্রিত করে পাহাড়ে ঘুরতে পাঠিয়েছিলেন। এ বার নিজের পারশ্রমিক ভাগাভাগি করে নেবেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
কবে থেকে ভক্তদের মন রাখা শুরু করলেন বিজয়? শুরুটা হয়েছিল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সে বার আর্কিটেকচার অ্যান্ড ফাইন আর্টস বিভাগ পরিদর্শনে এসেছিলেন বিজয়। ফেরার সময় ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ও কর্মী তাঁকে সমাজমাধ্যমে অনুসরণ করতে শুরু করেন। সেই সব মানুষকে নিজের খরচে দারুণ সব উপহার পাঠান অভিনেতা। সে ভাবেই শুরু এখনও অবধি সেই ধারা বজায় রেখেছেন অভিনেতা।