‘বেগম জান’ কিংবা ‘ডার্টি পিকচার’-এর মতো ছবি করার পর সেই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাবই আসতে থাকে বিদ্যার কাছে। এতেই হতাশ অভিনেত্রী। ফাইল চিত্র।
ইন্ডাস্ট্রি কলাকুশলীকে ছকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অনেক সময়েই সেটি পছন্দ করেন না। নির্দিষ্ট ছাঁচে তাঁকে দেখা হোক এমনটা চান না ৪৪ বছরের অভিনেত্রী বিদ্যা বালানও। বার বার অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে ভাঙতে গড়তেই পছন্দ করেছেন তিনি। তার পরও একই ধরনের নায়িকা-চরিত্রের প্রস্তাব আসায় কিছুটা ক্ষুব্ধ নায়িকা। বিদ্যার মতে, বহু ভুল ধারনার বশবর্তী হয়ে চলছে ইন্ডাস্ট্রি। যার পরিবর্তন প্রয়োজন।
বহু জনপ্রিয় ছবিতে সাড়া ফেলেছে বিদ্যার উপস্থিতি। অভিনেত্রী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট সমাদৃত তিনি। তার পরেও কেন রয়ে গিয়েছে আক্ষেপ? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন তিনি।
বিদ্যার কথায়, “ছকবাঁধা নায়িকা হয়ে ওঠার চাপ থাকে ইন্ডাস্ট্রিতে, কিন্তু আমি তেমনটা নই। এখনও নিজেকে আবিষ্কার করে চলেছি। ছকবন্দি করা চলে না আমাকে। তাও চেষ্টা করেই চলেছে লোকে। আমি তো সেই বিশেষ ধরনের নায়িকা হতে চাইনি।”
‘কহানি’ অভিনেত্রী তাঁর প্রথম ছবি ‘পরিণীতা’য় বিবাহিত মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বিদ্যার দাবি, “ইন্ডাস্ট্রির অনেকের মনে হয়েছিল, আমি তরুণী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ হারালাম, কারণ প্রথম ছবিতেই আমি বিবাহিত মহিলার চরিত্র করেছি।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমাকে এক জন বলেছিলেন, ‘পরিণীতা’য় তুমি কী চমৎকার ব্রেক পেয়েছ, কিন্তু তুমি এখানে তো এক জন মহিলার চরিত্রে অভিনয় করলে, এ বার দর্শক তোমায় অল্পবয়সি মেয়ের চরিত্রে দেখতে চাইবে। আমার তখন মাত্র ২৬ বছর বয়স।”
তবে ‘বেগম জান’ কিংবা ‘ডার্টি পিকচার’-এর মতো ছবি করার পর সেই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাবই আসতে থাকে বিদ্যার কাছে। এতেই হতাশ অভিনেত্রী। তাঁর মতে, এক ধরনের নায়িকা করার চেষ্টা চলছে তাঁকে। লোকে সে ভাবেই তাঁকে দেখছে এখন।
ইন্ডাস্ট্রির ধারাবদল নিয়েও অকপট বিদ্যা। তাঁর মতে, মহিলাকেন্দ্রিক ছবির চেয়ে পুরুষকেন্দ্রিক ছবি বেশি চলবে, এই ভাবনা এখনও বলিউডে প্রবল। বললেন, “হয়তো আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। কিন্তু এটা খুব হতাশাজনক। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হিরো কে, তা নিয়ে দর্শক ভাবিত নন। তাঁরা আসেন ভাল বিষয়বস্তু ও বিনোদনের সন্ধানে।”
বিদ্যাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ওটিটিতে। ‘জলসা’র মতো আবেগঘন ছবিতে শেফালি শাহ এবং মানব কউলের সঙ্গে নজর কেড়েছিলেন তিনি।