২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘সলাম-এ-ইশক’। বক্সঅফিসে সাফল্য না পেলেও ছবির গান সুপারহিট হয়েছিল।
ছবিতে জমে উঠেছিল জন আব্রাহাম-বিদ্যা বালনের অনস্ক্রিন জুটি। এই ছবির শ্যুটিং থেকেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের গুঞ্জন।
শোনা গিয়েছিল, বিপাশাকে ঠকিয়ে নাকি জন আব্রাহাম সম্পর্ক তৈরি করেছেন বিদ্যা বালনের সঙ্গে।
তাঁরা নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন, শোনা গিয়েছিল এ রকম গুঞ্জনও।
তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন পৌঁছেছিল বিপাশার কানেও। শোনা যায়, এই নিয়ে তিক্ত হয়ে উঠেছিল জনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।
জনকে নাকি বিপাশা বলেছিলেন, তিনি যদি বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন তা হলে বিপাশা তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় এমনই।
এর পরেও এক বার বিদ্যা বালনের সঙ্গে একই ছবিতে জন আব্রাহামের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু এই ছবি থেকে জন সরে আসেন।
তবে জন আব্রাহাম ছাড়াও অন্য নায়কের সঙ্গে বিদ্যা বালনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। শাহিদ কপূরের প্রতিও নাকি তিনি এক সময়ে অনুরক্ত ছিলেন।
এক সময় এ রকমও হয়েছে, যে যে নায়কের সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁদের সঙ্গে বিদ্যার নাম জড়িয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
পরে এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা স্পষ্ট করে জানান, জনের সঙ্গে কাজের বাইরে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
সহঅভিনেতা হিসেবে জন খুবই ভাল, সে কথা বিদ্যা জানান। তবে তাঁদের মধ্যে কোনও বিশেষ সম্পর্কের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
বিপাশার সঙ্গেও জনকে নিয়ে তাঁর কোনওরকম মনোমালিন্য হয়নি বলে দাবি করেন বিদ্যা।
পেশাদার সহকর্মী হিসেবে বিপাশার প্রশংসাও করেন বিদ্যা। ‘কহানি’-র নায়িকার অভিযোগ, তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই ধরনের গুঞ্জন ছড়ানো হয়।
২০০২ সালে ‘জিসম’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় জন এবং বিপাশার সম্পর্ক শুরু হয়। তার আগে কেরিয়ারের শুরুতে মডেলিংয়ের সময়ে দিনো মোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বিপাশার।
তবে নিজের সম্পর্ক নিয়ে বিপাশা কোনও দিন লুকোচুরি খেলেননি। দিনো মোরিয়ার পরে জন আব্রাহামের সঙ্গেও নিজের প্রেম তিনি লুকিয়ে রাখেননি। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁরা ছিলেন সুপারকাপল।
জন-বিপাশার দীর্ঘ সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০১১ সালে। বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে অবশ্য বিশেষ মুখ খোলেননি অতীতের এই তারকা জুটি।
৩ বছর প্রেমপর্বের পরে প্রবাসী ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার প্রিয়া রুঞ্চালকে ২০১৪ সালে বিয়ে করেন জন।
বিপাশা বিয়ে করেন ২০১৬ সালে। তাঁর স্বামী কর্ণ সিংহ গ্রোভারের সঙ্গে বিপাশার আলাপ হয়েছিল ২০১৫ সালে, ‘অ্যালোন’ ছবির সেটে। এক বছর প্রেমের পরে অনস্ক্রিন জুটি বাস্তবেও হয়ে যায় সুপারকাপল।
বিদ্যা বালন বিয়ে করেন ২০১২ সালে। তাঁর স্বামী, প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কপূর এর আগে আরও দু’বার বিয়ে করেছিলেন। বিদ্যা তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী।
বিয়ের পরেও অভিনয় করছেন বিদ্যা। বরাবরের মতো নারীকেন্দ্রিক ছবির চিত্রনাট্যই এখনও পছন্দ করেন তিনি। বলিউডে এখনও সুখি দম্পতি হিসেবেই পরিচিত সিদ্ধার্থ-বিদ্যা জুটি।