কপালে আঘাত চিহ্ন, সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রামের মৃত্যুতে শুরু তদন্ত। ফাইল চিত্র।
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রাম। শনিবার চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। শোওয়ার ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল শিল্পীর মরদেহ। কপালে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গীতশিল্পীর রহস্যমৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার সঙ্গীতশিল্পীর বাড়িতে কাজ করতে আসেন পরিচারিকা। বার বার কলিং বেল বাজিয়েও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। পরিচারিকার কথায়, ‘‘বার পাঁচেক বেল বাজানোর পরেও কেউ দরজা খোলেননি, আমার স্বামীও কয়েক বার ফোন করেন, তাতেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি।’’ সঙ্গীতশিল্পীর কোনও আওয়াজ না পেয়ে পুলিশের কাছে যান তিনি। ওই পরিচারিকা গত ১০ বছর ধরে বাণীর বাড়িতে কাজ করছেন। পরিচারিকার কথায়, ‘‘ওঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না, অতিথিদের বাড়িতে আপ্যায়ন করতেন, ফোনেও সকলের সঙ্গে ভাল করে কথা বলতেন।’’
পরিচারিকার জবানবন্দি নথিভুক্ত করার পরে সঙ্গীতশিল্পীর রহস্যমৃত্যুতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের উপস্থিতিতে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে বাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় সঙ্গীতশিল্পীর নিথর দেহ। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শিল্পীর মরদেহ। প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীর বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
গত ২৬ জানুয়ারি ভারত সরকার বাণী জয়রামকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে। সেই সম্মানস্মারক হাতে পাওয়ার আগেই অকস্মাৎ মৃত্যু সঙ্গীতশিল্পীর।