(বাঁ দিকে) সত্যজিৎ রায়, শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অপুর সংসার’ ছিল শর্মিলা ঠাকুরের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। জীবনের প্রথম অভিনয় বাবদ কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন শর্মিলা? সম্প্রতি প্রথম জীবনের উপার্জন এবং তৎকালীন সমাজে দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে একাধিক তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
শর্মিলা জানিয়েছেন, অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ তাঁকে ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেন। শুধু তা-ই নয়, সেই পারিশ্রমিক কী ভাবে খরচ করেছিলেন শর্মিলা, সে প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেছেন অভিনেত্রী। শর্মিলা বলেন, ‘‘অল্প বয়সে আমি রোজগার করতে শুরু করি। তখন এখনকার মতো পারিশ্রমিক পাইনি ঠিকই, তবে এ কথাও মানতে হবে যে, সে সময় দ্রব্যমূল্যও আজকের মতো ছিল না।’’ তবে শুধুই টাকা নয়, শর্মিলা জানান, টাকা ছাড়াও সত্যজিৎ অভিনেত্রীকে একটি শাড়ি এবং ঘড়ি উপহার দেন। শর্মিলা বলেন, ‘‘বাকি বাঙালি পরিবারের মতোই সঙ্গে সঙ্গে আমি সোনার দোকানে হাজির হয়েছিলাম। তার পর ওই টাকায় হাতের বালা, নেকলেস আর কানের দুল কিনেছিলাম। ওই টাকাটা কম হলেও সে সময় জিনিসপত্রের দামও খুবই কম ছিল।’’
শর্মিলা আরও জানান, কেরিয়ারের শুরুতে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে তিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেতেন। কিন্তু, তাঁর প্রথম হিন্দি ছবির জন্য শর্মিলা ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, শর্মিলার প্রথম হিন্দি ছবি ছিল শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘কাশ্মীর কি কলি’। শর্মিলা জানান, পরিচালক তাঁকে পারিশ্রমিকের বদলে নাকি মুম্বইয়ের বর্তমান ভিলে পার্লে অঞ্চলে জমি দিতে চেয়েছিলেন। শর্মিলার কথায়, ‘‘আমি বলেছিলাম, আপনি কি পাগল! আমি এই জলা জমিতে থাকব!’’
আসলে হিন্দি ছবিতে পা রাখার পর মুম্বইয়ে শর্মিলার কোনও বাড়ি ছিল না। অভিনেত্রী জানান, শুরুর কয়েকটি বছর তিনি থাকতেন তাজমহল হোটেলে। শর্মিলা বলেন, ‘‘কয়েক বছর পর আমি ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি কিনি। কিন্তু সেই টাকা জোগাড় করতে আমাকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল। কারণ, তখন আমাদের বিপুল হারে কর দিতে হত বলে টাকা জমানো খুব কঠিন ছিল।’’