আন্তর্জাতিক মঞ্চে উজ্জ্বল দুই তারকাকে দেখে হিংসায় জ্বলেপুড়ে যাচ্ছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত। — ফাইল চিত্র।
বিনোদনের বিশ্বে ভারতীয় তারকাদের জয়জয়কার। মায়ানগরীর সীমানা ছাড়িয়ে এখন তাঁদের আবেদন দুনিয়াজোড়া। শুধু বলিউডেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরের স্বীকৃত ও প্রশংসিত ভারতীয় তারকারা। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। এ বার সেই পথেই পা বাড়িয়েছেন আলিয়া ভট্টও। চলতি বছরেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর প্রথম হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’। তার আগেই আলিয়ার মুকুটে জুড়েছে নতুন পালক। চলতি বছরেই প্রথম মেট গালায় অভিষেক হয়েছে মহেশ ভট্টের কন্যার। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও। এই নিয়ে চতুর্থ বার মেটের গালিচায় হাঁটলেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা, আলিয়ার মতো তারকাদের সাফল্যে আনন্দিত ও গর্বিত বলিউডে তাঁদের সহকর্মীরা। তবে সকলে নন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে উজ্জ্বল দুই তারকাকে দেখে হিংসায় জ্বলেপুড়ে যাচ্ছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত।
নিজেদের প্রতিভা ও দক্ষতার জোরে হলিউডে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। একই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন আলিয়া ভট্টও। তাঁদের এই সাফল্যে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে নীনা গুপ্তর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমরাও যদি আমাদের সময়ে এ রকম সুযোগ পেতাম! আমি প্রতি মুহূর্তে শুধু এটাই ভাবি। প্রতি সেকেন্ডে এই আক্ষেপটাই আমার মাথায় ঘোরে।’’ প্রিয়ঙ্কা ও আলিয়ার সাফল্যে যে তিনি খুশি নন, তেমনটা নয়। তবে, গর্বের পাশাপাশি আফসোসও রয়েছে নীনার মনে। তিনি বলেন, ‘‘আমি খালি ভাবি, এই যুগে যদি আমি এক জন তরুণ অভিনেত্রী হতাম। এ রকম সুযোগ পেলে আমি আরও অনেক কিছু করতে পারতাম।’’ তবে একেবারে ভেঙে পড়েননি নীনা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানি, চাইলেই সব কিছুই পাওয়া যায় না। আমি এই বয়সেও যে ধরনের কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’’
তবে, আশা ছাড়ার পাত্রী নন নীনা। এখনও যদি কোনও আন্তর্জাতিক স্তরের এমন অনুষ্ঠানে ডাক পান, তা হলে এক পায়ে যেতে রাজি বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সুযোগ পেলেই আমি যেতে রাজি। আমাকে হয়তো গাউন পরে মানাবে না, তবে আমি খুব সুন্দর একটা শাড়ি পরেই যাব। আমাকে সাজানোর জন্য আমার মেয়ে মাসাবা তো আছেই!’’