Moushumi-Sonakshi

বিজ্ঞাপনী ছবিতে প্রথম কাজ করতে গিয়েই সোনাক্ষীকে বললেন মৌসুমী, ‘আমায় রান্না করে খাওয়াও’

“তরুণ মজুমদারের হাত ধরে প্রথম অভিনয়ে এসেছিলেন। সৌভাগ্য, আমি ওঁকে বিজ্ঞাপনী ছবিতে প্রথম আনতে পারলাম”, বললেন পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:২১
Share:

(বাঁ দিক থেকে) অভিজিৎ শ্রী দাসের সঙ্গে সোনাক্ষী সিংহ, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: অভিজিৎ শ্রী দাস।

সামনেই শীত। এ দিকে বিনোদন দুনিয়া বলছে, মৌসুমী বায়ু নাকি ভয়ঙ্কর ভাবে সক্রিয়! দীর্ঘ দিন অভিনয় থেকে দূরে থাকার পর ফের পুরনো মেজাজে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরছেন, এটাই ছিল সাম্প্রতিক খবর। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অন্য খবর, এই প্রথম কোনও বিজ্ঞাপনী ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে । এ খবর জানিয়েছেন খোদ ‘বিজয়ার পরে’ ছবির পরিচালক অভিজিৎ শ্রীদাস। তিনি বললেন, “তরুণ মজুমদারের হাত ধরে মৌসুমীদি প্রথম অভিনয়ে এসেছিলেন। সৌভাগ্য, আমি ওঁকে বিজ্ঞাপনী ছবিতে প্রথম আনতে পারলাম।” যিনি নতুন করে ফিরছেন তিনি কী বলছেন? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছেই। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের শোক আগের তুলনায় সামলে উঠছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ফলে, এখন ভাল কাজ করতে চাইছেন আবার।

Advertisement

সে কথা তিনি পরিচালককেও বলেছেন। মৌসুমীর কথায়, “আমায় পছন্দসই চরিত্র দাও। কাজ করব। এত দিন যেমন করে এসেছি। মজার, ঘরোয়া, চরিত্রে গভীরতা আছে। আমিও তা হলে আবার আগের মতো অভিনয় করব।” এখনও হাসিতে গজদন্তের ঝিলিক। দু’গালে হালকা টোল। কথায় কথায় রসিকতা। নিজে হেসে অন্যকে হাসানো— যত ক্ষণ সেটে তত ক্ষণ কেবল তাঁর রাজপাট, সব একই আছে, দাবি পরিচালকের। মুম্বইয়ে প্রথম সারির এক মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনী ছবি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা অভিজিতের। এই ছবিতে মৌসুমীর সঙ্গী সোনাক্ষী সিংহ। খবর, মৌসুমী বায়ুর দাপটে তিনিও নাকি বেসামাল। “মৌসুমীদি একটা করে কথা বলছেন, সোনাক্ষী হেসে গড়িয়ে পড়ছেন।”

পরিচালকের সঙ্গে সোনাক্ষী, মৌসুমী। ছবি: সংগৃহীত।

মশলার বিজ্ঞাপনী ছবি মানেই রান্নাবান্না। মৌসুমী আর সোনাক্ষী বুঝি একসঙ্গে রাঁধলেন?

Advertisement

একেবারেই না, জানালেন পরিচালক। বললেন, “দুই অভিনেত্রী নিজের পরিচয়েই ধরা দেবেন। সোনাক্ষী রান্নার শো-এর সঞ্চালক। মৌসুমী তাঁর অতিথি। সাধারণত, অতিথিরা এস রেঁধেবেড়ে খাওয়ান। দিদি তো বরাবর ব্যতিক্রমী। তাই তিনি সঞ্চালিকাকে বলবেন, তাঁকে রেঁধে খাওয়াতে হবে!” তাঁদের সৌন্দর্য বুঝেই তাই সাজসজ্জার আয়োজন। মৌসুমীকে দেখা যাবে সোনালি, আর পিচরঙা টিস্যু শাড়িতে। সোনাক্ষী লাল রঙের পাশ্চাত্য পোশাকে, কখনও একই রঙের সিক্যুুইন সালোয়ারে। শত্রুঘ্ন সিংহের মেয়ের সঙ্গে শুটিং করে প্রবীণ অভিনেত্রী এতটাই খুশি যে, এই প্রজন্মের সঙ্গেই বেশি কাজ করতে চান তিনি। প্রজন্মের ফারাক থাকলেও উভয়েই বাংলার পরিচালককে একই ভাবে সম্মান করেছেন। অভিজিতের মতে, এই জন্যই মুম্বইয়ে কাজ করে আরাম। তাঁর এই ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্বে সিরি়জ় ‘গুল্লাক’-খ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার নিখিল আরলকর।

বয়স সৌন্দর্যে থাবা বসায়। জীবনের নানা ওঠাপড়া ছাপ ফেলে মনের আয়নায়। মৌসুমীর ক্ষেত্রেও তাই?

সেটে মুখোমুখি দুই প্রজন্ম। ছবি: সংগৃহীত।

অভিজিতের কথায়, “বালিকা বধূ’ থেকে ‘গয়নার বাক্স’— দিদি আগের মতোই প্রাণোচ্ছল। এখনও অনর্গল কথা বলেন। নিয়মিত খবর দেখেন, খবরের কাগজ পড়েন। সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কোনও বিশেষ ঘটনার উল্লেখ না করেও কথায় কথায় জানিয়েছেন, দুই বাংলার বর্তমান অবস্থা তাঁকে ভাবায়।” এখন মৌসুমীর সকাল হয় একটু দেরিতে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তিনি থাকেন। স্নান সেরে আগে পুজোর ঘরে। তার পর বাকি সব। রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছে আছে? “সবটাই ওঁর মর্জি”, জবাব পরিচালকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement