জেমস বন্ড। ০০৭। শুনলেই মনে হয়, একটা তুলকালাম শক্তিশালী গাড়ি, দু’ হাতে দুটো বন্দুক কিংবা মেশিন গান নিয়ে বন্ড তাড়া করছেন শত্রুপক্ষকে। বন্ড ছবির অন্যতম সম্পদ এই গাড়িগুলির দাম ২০ কোটি থেকে ৫০ কোটি। বিশেষ করে রেট্রো মডেলের গাড়িগুলি।
১৯৯৭ সালের ‘টুমরো নেভার ডাইজ’ ছবিতে এই ফোর্ড স্করপিও গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে বন্ডকে তাড়া করতে।
২০০৮ সালের ‘কোয়ান্টাম অব সোলেস’ ছবির এই আলফা রোমিও ১৫৯ গাড়িটি থেকে মেশিন গানে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছিল বন্ডকে। এটিও অসম্ভব জনপ্রিয় গাড়ি। একটি নিলামে এই গাড়ির দাম উঠেছিল ৪৫ কোটি টাকা।
১৯৯৯ সালে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’ ছবিতে অ্যাস্টন মার্টিন ডিবি৫ গাড়িটি দেখা গিয়েছে। ৭০-৮০ দশকে এই গাড়িটি অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল। এই স্পোর্টস কারে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে বন্ডকে। এটির দাম প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু।
অডি ২০০ কোয়াট্রো গাড়িটি ব্যবহার করা হয় ১৯৮৭ সালের ‘দ্য লিভিং ডে’লাইটস’-এ। একটি নিলামে এই গাড়িটির দাম শুরু হয়েছিল ৩০ কোটি টাকা।
১৯৬৩ সালের ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লভ’ ছবিতে বেন্টলে পার্ক ওয়ার্ড ড্রপহেড কপ গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে। ইয়ান ফ্লেমিং ১৯৩৩ সালে তাঁর বইয়ে যে গাড়িগুলির কথা লিখেছিলেন, তার সঙ্গে এর মিল ছিল।
বিএমডব্লু ৫১৮-আই ১৯৬৩ সালের ‘অক্টোপুসি’ ছবিতে এই গাড়িটি দেখা গিয়েছে। বন্ডের ছবিতে ‘চেজিং’-এর দৃশ্যে অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি এটি।
লিঙ্ক কন্টিনেন্টাল গাড়িটি ব্যবহার করা হয় ১৯৬৪ সালের ‘গোল্ডফিঙ্গার’ ছবিতে। দর্শকদের কাছে বন্ড ছবির অন্যতম প্রিয় এই রেট্রো লুকের গাড়িটি ব্যবহার কর হয় একটি খুনের ষড়যন্ত্রের ঘটনায়। একটি নিলামে এক কোটি টাকা থেকে দাম শুরু হয়েছিল গাড়িটির।
মাসেরাতি বিটুরবোকে দেখা গিয়েছে ১৯৮৯ সালের ‘লাইসেন্স টু কিল’ ছবিতে। ড্রাগ মাফিয়া ফ্রান্স সাঞ্চেজকে এই গাড়ি চালাতে দেখা গিয়েছে।এই গাড়ির দাম ৫০ লক্ষের কাছাকাছি।
মার্কারি কুগার এক্সআর-৭ গাড়িটি ব্যবহার করা হয়, ১৯৬৯ সালের ‘অন হার ম্যাজেস্টিস সার্ভিস’ ছবিতে। বন্ডের অ্যাস্টন মার্টিনের তুলনায় এই গাড়িটির উপস্থিতিই বেশি ছিল। ছবিতে বন্ডের হবু স্ত্রী ট্রেসি এই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ক্লাসিক এই গাড়ির দাম কয়েক কোটি টাকা।
মার্সিডিজ বেন্জ ৪৫০এসইএল- গাড়িটি ব্যবহার করা হয় ১৯৮১ সালের ‘ফর ইয়োর আইজ অনলি’ ছবিতে। যদিও পায়ের সামান্য স্পর্শেই সেই গাড়িকে কাত করে দিয়েছিলেন বন্ড! রজার মুরের সেরা বন্ড ছবি এটি, বলেন সমালোচকরাও। এটির দাম ৪০ লক্ষের কাছাকাছি।
আ ভিউ টু আ কিল, ১৯৮৫ সালের এই ছবিতে রেনল্ট ফুয়েগো ব্যবহার করতে দেখা যায় ফ্রান্সের খলনায়িকাদের। রোলস রয়েস নিয়ে তাড়া করার দৃশ্যে এই গাড়িকেও দেখা গিয়েছে। এই গাড়ির দাম কয়েক লক্ষ টাকা।
রোলস রয়েস সিলভার রেথ: ২০১৫ সালের ‘স্পেকট্রে’ ছবিতে বন্ড তাঁর সহকারী ম্যাডেলিন সোয়ানকে এই গাড়িটি দেখান মরুভূমির মাঝে ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যাওয়ার একটি দৃশ্যে।
ট্রায়াম্ফ স্ট্যাগ জেমস বন্ডের অন্যতম একটি গাড়ি। আমস্টারডামের রাস্তায় এই গাড়ির সঙ্গে বন্ডকে দেখা গিয়েছে। ডায়ামন্ডস আর ফরএভার (১৯৭১) সিনেমায় দেখা গিয়েছে এটি। রেট্রো গাড়িটির দাম নিলামে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত উঠেছে ।