টলি নায়িকারা প্রেমে কে কতটা এগিয়ে?
রুপোলি পর্দার অভিনেত্রীরা সব সময়েই আলোড়নের কেন্দ্রে। কার, কাকে ভাল লাগে, তা নিয়ে কতই না আড্ডা-চর্চা। আজ পয়লা ফাগুন। আবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ও। তাই ভাবনার গতি গেল উল্টো দিকে। নায়িকাদের কাকে ভাল লাগে? কেমন প্রেমিকা তাঁরা? সে সব ঘিরেই তৈরি হল তাঁদের প্রেমের রিপোর্ট কার্ড। যাঁর প্রেম জীবন যত দুরন্ত এবং রঙিন, আনন্দবাজার ডিজিটাল ততই বেশি নম্বর দিল তাঁকে।
নুসরত জাহান।
২০১১ সালে রাজ চক্রবর্তীর ‘শত্রু’ ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় আসেন নুসরত জাহান। তার পরে গঙ্গা-পদ্মায় অনেক লই বয়ে গিয়েছে। নুসরতও ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন টলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের এক জন। তবে শুধুমাত্র অভিনয়েই থেমে থাকেননি তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন। বর্তমান সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত নানা কারণেই থেকেছেন আলোচনায়। কখনও ছবি, কখনও রাজনীতি, কখনও বা প্রেম। ২০১৯ সালে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের সময়ে মন ভেঙেছিল বহু অনুরাগীরই। কিন্তু তাতেও কমেনি তাঁর জনপ্রিয়তা। হালে প্রেম নিয়ে গুঞ্জনের কারণেই আবার আলোচনায় তিনি। প্রেমের ময়দানে তিনি কি নতুন কোনও সঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন? জল্পনা চলছে।
নুসরতের রিপোর্ট কার্ড।
মিমি চক্রবর্তী।
মিমি চক্রবর্তী
প্রথম অভিনয় ছোটপর্দায়। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘গানের ওপারে’-র পুপে হয়ে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরে লম্বা খোলা চুল, হাল্কা রঙের শাড়ি আর কপালে ছোট্ট টিপে সেজে ওঠা পুপের উত্তরণ ঘটে বাণিজ্যিক ছবিতে। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাননি মিমি। টলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায় যুক্ত হয় তাঁর নাম। একের পর এক সুপারহিট ছবি দিয়ে হয়ে ওঠেন সবচেয়ে দামি অভিনেত্রীদের এক জন। অভিনয়ের পাশাপাশি পা রাখেন রাজনীতির আঙিনাতেও। সেখানেও সাফল্য। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ে জয় হয় তাঁর। যাদবপুর কেন্দ্রের সাংসদ হয়ে মুকুটে নতুন পালক জুড়ে নেন অভিনেত্রী। অভিনয়, রাজনীতি, ইউটিউব চ্যানেলে গান, এ সব নিয়েই ব্যস্ত মিমি। প্রেম নিয়ে ভাবার সময় কোথায় তাঁর!
মিমির রিপোর্ট কার্ড।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
এক সময়ে টলিউডের ১ নম্বর নায়িকা। এখনও সবচেয়ে আলোচিতদের মধ্যে এক জন। পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ছবি থেকে অন্য ধারার ছবি— সবেতেই সমান ভাবে সফল হয়েছেন ঋতু। ‘দহন’ ছবির জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও। তবে তাঁর কাজকে ছাপিয়ে কখনও কখনও বেশি মাত্রায় উঠে এসেছে তাঁর প্রেমের কাহিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রেম এক সময়ে হয়ে উঠেছিল টলিউডের সবচেয়ে আলোচনার বিষয়। এহেন ঋতুপর্ণা এখন পুরোপুরি সংসারি। বাল্যবন্ধু সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিব্যি আছেন নায়িকা। চালিয়ে যাচ্ছেন কাজও। বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন উঠলেও, তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। তবু ভরা বসন্তের হওয়া টলিউডে ঢুকলেই, এখনও সকলের কৌতূহল একটা— ঋতুবদল হচ্ছে কি না।
ঋতুপর্ণার রিপোর্ট কার্ড।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে। ২০০৩ সালে জিতের সঙ্গে ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবি দিয়ে শুরু নতুন ইনিংস। ছোটপর্দাতেও কাজ করে চলেছেন সমান তালে। রিয়্যালিটি শো-তে বিচারক এবং সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে ওয়েব সিরিজে। এমন মানুষের প্রেম জীবন নিয়ে কৌতূহল যে থাকবেই টলি-পাড়ায়, তা আর বলা কী আছে?
শ্রাবন্তীর রিপোর্ট কার্ড।
শ্রীলেখা মিত্র।
শ্রীলেখা মিত্র
এক সময়ে ছোটপর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে এক জন ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। বড়পর্দায় সফল হয়েও, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। অভিনেত্রী এখন অনেক বেশি আলোচনায় তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের দৌলতে। সেখান থেকে একের পর এক ভিডিয়ো-বার্তা দিয়ে চলেছেন শ্রীলেখা। যার প্রতিটাই নেটাগরিকদের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হালে সিনেমা পরিচালনা করছেন। সে সম্পর্কেও নিয়মিত খবরাখবর দেন শ্রীলেখা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে শ্রীলেখা বারবার আলোচনায় তাঁর প্রেমের জন্য। কোনও বিশেষ মানুষকে নিয়ে নয়, প্রেম সম্পর্কে তাঁর ধ্যানধারণা, যৌনতা সম্পর্কে তাঁর খোলামেলা বক্তব্যের জন্য অনুরাগীর সংখ্যা বাড়ছে।
শ্রীলেখার রিপোর্ট কার্ড।
প্রিয়াঙ্কা সরকার।
প্রিয়াঙ্কা সরকার
প্রথম ছবিতেই মাত করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবিতে তাঁর হাতেখড়ি। তার পরের দীর্ঘ ১৩ বছরের অভিনয় জীবনে নানা ওঠাপড়া চলেছে তবে এই মুহূর্তে তিনি টলিপাড়ায় প্রথম সারির নায়িকা তিনি। ‘প্রতিদ্বন্দী’, ‘ন হন্যতে’, ‘স্বাদে আহ্লাদে’, ‘রাজকাহিনি’, ‘আর্শিনগর’, ‘বিবাহ অভিযান’, ‘হ্যালো’-র মতো কাজ এনেছে সাফল্য । অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংসার ভেঙে গিয়েছে। ছেলে সহজকে ঘিরেই কাটছে জীবন। তার মধ্যে প্রেমের সময় পাচ্ছেন তো?
প্রিয়াঙ্কার রিপোর্ট কার্ড।
পায়েল সরকার।
পায়েল সরকার
২০০৪ সালে অভিনয় জীবন শুরু। প্রথম ছবি সুদেষ্ণা রায় ও অভিজিৎ গুহ পরিচালিত ‘শুধু তুমি’। অভিনেত্রী পায়েল সরকার বাংলার গণ্ডিতেই আটকে রাখেননি নিজেকে। কাজ করেছেন হিন্দি ধারাবাহিকেও। বিখ্যাত বলিউড পরিচালক অনুরাগ বসু প্রযোজিত ‘লাভ স্টোরি’-তে নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে পায়েলকে। ‘লেডিস স্পেশাল’, ‘শকুন্তলা’, ‘ওয়াকত বতায়েগা কৌন আপনা কৌন পরায়া’-র মতো হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন। পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও তাঁর অভি়জ্ঞতা বাড়তে থাকে। ‘বিবর’, ‘আই লাভ ইউ’, ‘লে ছক্কা’, ‘ক্রস কানেকশন’, ‘প্রেম আমার’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘চতুষ্কোণ’, ‘অমানুষ ২’, ‘যমের রাজা দিল বর’-র মতো ছবির সফল অভিনেত্রী পায়েল, পা বাড়িয়েছেন ওয়েবসিরিজ। তাঁর ‘শব্দ জব্দ’ সম্প্রতি বেশ খ্যাতি পেয়েছে। এমন মানুষের প্রেম জীবন সম্পর্কে জানতে চাওয়া কি অপরাধ?
পায়েলের রিপোর্ট কার্ড।
তনুশ্রী চক্রবর্তী।
হায়দরাবাদে জন্ম তাঁর, কলকাতায় সাফল্য। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে টানা টলিউডে কাজ করে চলেছেন তনুশ্রী। ‘উড়ো চিঠি’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’, ‘সমান্তরাল’, ‘বুনো হাঁস’, ‘দুর্গা সহায়’ -এর মতো ছবি দিয়ে দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে ফেলেছেন। সঙ্গে যখন-তখন দেখা দেন বিজ্ঞাপন কিংবা রিয়্যালিটি শো-তেও। মডেলিং জগতেও যথেষ্ট নাম-ডাক তাঁর। এত কিছুর পরেও কি নিজের জন্য একটু সময় পান তনুশ্রী? মনের মানুষ কি শুধুই মনে, নাকি তাঁর দেখাও পাওয়া যায় অভিনেত্রীর আশপাশে?
তনুশ্রীর রিপোর্ট কার্ড।
ইশা সাহা।
ইশা সাহা
‘প্রজাপতি বিস্কুট’-এর সূত্রে বড়পর্দায় আগমণ। আর এসেই চমক। এমন ঝকঝকে মুখ দেখে খুশি হন বাংলা ছবির দর্শক। তার পর থেকে ইশা হয়ে উঠেছেন টলিপাড়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের এক জন। হাতে পরপর কাজ। ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’, ‘সোয়েটার’, ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ মোটের উপরে সফল। ওয়েব-পর্দাতেও সাফল্য পেয়েছে ইশার কাজ। সামনে দেবের সঙ্গে ছবি। এত দিনে সবাই বুঝে গিয়েছেন, ইশা হতে চলেছেন লম্বা রেসের ঘোড়া। কিন্তু এর পাশাপাশি আলোচনায় তাঁর প্রেমের জীবনও। এখন কি ইশা একা? বাংলা ছবির দর্শকদের কাছে প্রেম দিবসে এটা বড় প্রশ্ন।
ইশার রিপোর্ট কার্ড।
সায়নী ঘোষ।
‘ইচ্ছেডানা’ ধারাবাহিকে প্রথম দেখা যায় তাঁকে। ইচ্ছেমতো কথাও বলেন তিনি। বিতর্ক তাই পিছু ছাড়েনি। বর্তমানে রাজনৈতিক মত প্রকাশের করে শিরোনামে সায়নী। তবে কাজ থেকে মন সরেনি। বড় পর্দার পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও এখন চেনা মুখ সায়নী। 'কানামাছি', 'অলীক সুখ', 'রাজকাহিনি', 'সাঁঝবাতি'-র মতো ছবিতে কাজ করে পেয়েছেন সাফল্য। অভিনয় করেছেন 'প্রলয় আসছে', 'জোশ', 'অপরাজিতা', 'কেয়ার করি না'-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে। সাফল্য ও বিতর্ক মিলে বাড়াচ্ছে সায়নীকে ঘিরে কৌতূহলের পারদ। কথায় কথায় ঢুকেই পড়ছে তাঁর ‘ভাল লাগা’ নিয়ে প্রশ্ন।
সায়নীর রিপোর্ট কার্ড।
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়।
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়
ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে মডেলিংয়ে আসা। সেখান থেকে অভিনয়ে। সুস্মিতা সবে টলিউডে পা রেখেছেন। প্রথম ছবি ‘প্রেম টেম’। পর্দায় তাঁর চরিত্র ‘রাজি’কে দেখে ধরাসায়ী বহু দর্শকই। তিনি নিজেও নাকি অনেকটা ‘রাজি’র মতোই। স্পষ্টবক্তা, কোনও কিছুকে বিশেষ পাত্তা না দেওয়া, আর ভালবাসলে তা নিয়ে আড়ষ্টতা পছন্দ না করাই তাঁর পছন্দ। এ সব কারণে, তাঁকে নিয়ে কৌতূহল আরও বেড়েছে। প্রেম দিবসে কার সঙ্গে তিনি? স্পষ্টবক্তার সেই স্পষ্ট উত্তরের অপেক্ষায় অগুনতি অনুরাগী।
সুস্মিতার রিপোর্ট কার্ড।
ঋতাভরী চক্রবর্তী।
ঋতাভরী চক্রবর্তী
অভিনয়ে হাতে খড়ি রবি ওঝা প্রোডাকশনসের ‘ওগো বধূ সুন্দরী’-র হাত ধরে। রাতারাতি ‘ললিতা’ হয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী। ‘চোখের তারায় তুই’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেন তিনি। এর পরে আর ছোটপর্দায় দেখা মেলেনি তাঁর। ছবির তালিকা খুব দীর্ঘ না হলেও, ‘পরী’ এবং ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’-র মতো সফল ছবির নাম রয়েছে তাতে। খুব শীঘ্রই অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে ‘এফ আই আর’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
ঋতাভরীর রিপোর্ট কার্ড।
দিতিপ্রিয়া রায়।
দিতিপ্রিয়া রায়
৬ বছর বয়স থেকে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত দিতিপ্রিয়া। আপাতত টেলি-পাড়ায় ‘রানিমা’ বলেই পরিচিত তিনি। ‘রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের সুবাদে ১৮ বছর বয়সেই বালিকা বধূ থেকে বৃদ্ধা রানিমার চরিত্রে অভিনয় করে খুবই প্রশংসিত এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি, একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘রাজকাহিনি’, ‘দেব আই লাভ ইউ’, ‘অভিযাত্রিক’, ‘বব বিশ্বাস’। শেষ ছবিটি এখনও রয়েছে মুক্তির অপেক্ষা । তাঁর ছবি ‘অভিযাত্রিক’ আবার নিবার্চিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে। এত কম বয়সে, এমন সাফল্য ক’জনই বা পান। তাই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বেড়েছে উৎসাহ। এ বসন্তে তাঁর মন কোন দিকে, জানতে চান আগুনি দর্শক।
দিতিপ্রিয়ার রিপোর্ট কার্ড।
মধুমিতা সরকার।
মধুমিতা সরকার
ছোটপর্দায় কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র ‘পাখি’, তারও আগে ‘কেয়ার করি না’-র ‘জুনি’ এক সময়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার ঘরে ঘরে চেনা নাম। সেই ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’ এখন অনেক বড় হয়ে বড়পর্দার নায়িকা। ‘লাভ আজ কাল পরশু’, ‘চিনি’ ছবির দৌলতে এখন চুটিয়ে কাজ করছেন মধুমতি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও কম আলোচনার বিষয় নয়। প্রেম থেকে বিয়ে, নতুন প্রেমের কারণে বিয়ে ভাঙা, বিয়ে ভাঙার পরে আবার প্রেম— নানা গুঞ্জন তাঁকে নিয়ে। তার মধ্যেই মধুমিতা টলি-পাড়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখের একটি।
মধুমিতার রিপোর্ট কার্ড।
স্বস্তিকা দত্ত।
স্বস্তিকা দত্ত
২০১৫ সালে ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতে প্রথম দেখা যায় স্বস্তিকা দত্তকে। এর পরে‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’, ‘অভিমান’, ‘যেতে নাহি দিব’ ছবিতে কাজ করেন তিনি। ছোটপর্দায় ‘দুগ্গা দুগ্গা’, ‘ভজ গোবিন্দ’, ‘বিজয়িনী’ এবং ‘কী করে বলব তোমায়’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকেও কাজ করেও সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকে ‘রাধিকা’অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন নানা পুরস্কারও। আর প্রেম? সেখানে কী প্রাপ্তি ঘটল?
স্বস্তিকার রিপোর্ট কার্ড।
অর্কজা আচার্য।
অর্কজা আচার্য
২০২০ সালের শেষ দিকে প্রথম বার ছোটপর্দায় দেখা যায় অর্কজা আচার্যকে। সেই থেকে ‘স্টার জলসা’-র ‘ওগো নিরুপমা’-এ অভিনয় করছেন তিনি। কম সময়ের মধ্যেই কেড়েছেন দর্শকদের মন। আগে মডেলিংয়ের পাশাপাশি মঞ্চাভিনয়ও করতেন অর্কজা। সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু পরিচালিত নাট্যদল ‘মুখোমুখি’ ছাড়াও আরও কিছু দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। চেলি-পাড়ায় এখন তাঁকে ঘিরে অনেক আশা। আগামীর মুখ অর্কজার প্রেম জীবনটা কেমন, জেনে নিতে তাই অগ্রহ বাড়ছেই।
অর্কজার রিপোর্ট কার্ড।
অনিন্দিতা বসু।
অনিন্দিতা বসু
ছোট পর্দার চেনা মুখ অনিন্দিতা বসু। ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকে নলিনীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর পরে ‘গানের ওপারে’-র ঝিনুক সান্যালের চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন অনিন্দিতা। বড় পর্দায় তাঁর কাজের তালিকাও লম্বা। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘ব্যোমকেশ গোত্র’, ‘লাভ আজ কাল পরশু’-র মতো বাণিজ্যিক ভাবে সফল ছবিতেও অভিনয় করেছেন অনিন্দিতা। ২০২০ সালে ‘অ্যামাজন প্রাইম’-এর ‘পাতাললোক’ ওয়েব সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
অনিন্দিতার রিপোর্ট কার্ড।
অদ্রিজা রায়।
অদ্রিজা রায়
গ্ল্যামার দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন মডেলিংয়ের মাধ্যমে। ২০১৬ সালে ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয় করেন অদ্রিজা রায়। ফের একে একে ‘সন্ন্যাসি রাজা’, ‘জয় কালি কলকাত্তাওয়ালি’, ‘মঙ্গল চণ্ডী’, ইত্যাদিতেও কাজ করেন তিনি। ধীরে ধীরে বড় পর্দাতেও অভিনয় করা শুরু করেন অদ্রিজা। রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘পরিণীতা’-তে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। এই মুহূর্তে তিনি একাধিক ওয়েব সিরিজের কাজে ব্যস্ত। গত বছর ‘বন্য প্রেমের গল্প’-এ তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সব ক্ষেত্রেই তাঁর চরাচর রয়েছে। তার মধ্যে প্রেমের সময় পাচ্ছেন তো?
অদ্রিজার রিপোর্ট কার্ড।