বাণী কপূর।
নামী প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে তাঁর রুপোলি পর্দায় পা রাখা। ‘ওয়র’, ‘বেল বটম’-এর মতো ছবির অংশ হয়েও অভিনেত্রী হিসেবে ততটা নজর কাড়তে পারেননি বাণী কপূর। এই প্রথম সাহসী চরিত্র নির্বাচনের জন্য বিপুল প্রশংসিত হচ্ছেন অভিনেত্রী। ‘চণ্ডীগড় করে আশিকী’ ছবিতে মানবী নামে এক রূপান্তরিত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাণী। জানালেন, সবচেয়ে বেশি শুভেচ্ছা তিনি পাচ্ছেন ট্রান্স-কমিউনিটির কাছ থেকেই। ছবিতে মানবীকে ‘আদমি ওয়ালি শকল’-এর মতো সংলাপ শুনতে হয়েছে। বাণীর কাছে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল মানবী হয়ে ওঠা? ‘‘আমাদের সমাজের বাস্তব এটাই। ট্রান্সউয়োম্যানদের এই ধরনের মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়ত। সেটাই তুলে ধরেছে এ ছবি। অস্বস্তি কাটিয়ে কথা বলা অন্তত শুরু হোক। অভিনেত্রী হিসেবে যথেষ্ট সিকিয়োর্ড ছিলাম বলেই চরিত্রটায় ‘হ্যাঁ’ বলেছিলাম। আর গাট্টু (পরিচালক অভিষেক কপূর) একজন সংবেদনশীল পরিচালক বলে আরও ভরসা পেয়েছিলাম,’’ বললেন বাণী।
অভিনেত্রী জানালেন, রূপান্তরিত নারীর চরিত্রে অভিনয় করার আগে তাঁদের নিয়ে তৈরি নানা তথ্যচিত্র, সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন ভাষায় তৈরি হওয়া সিনেমা দেখে নোট তৈরি করতেন তিনি। পরিচালক তাঁকে যখন চিত্রনাট্য ই-মেল করেন, তখন লকডাউন চলছে। চরিত্রের প্রস্তুতি পর্বে ভিডিয়ো কলে রূপান্তরকামী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতেন বাণী, তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতেন। মানবীর চরিত্রে কোনও রূপান্তরিত অভিনেত্রীকে কেন কাস্ট করা হয়নি, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে বাণী বললেন, ‘‘কাস্টিং একান্তই পরিচালক-প্রযোজকের সিদ্ধান্ত। তবে রূপান্তরিতদের জন্য আরও বেশি করে চরিত্র লেখা উচিত বলে মনে করি। শুধু টাইপকাস্ট চরিত্র নয়, মেনস্ট্রিমের অংশ করে নিতে হবে। দর্শককেও খোলা মনে তা স্বাগত জানাতে হবে।’’
আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে কাজ করে উচ্ছ্বসিত বাণী। শুধু অভিনয় নয়, আয়ুষ্মানের কবিতা, গানবাজনারও ‘ফ্যান’ বাণী। পরের ছবি ‘শামসেরা’য় রণবীর কপূর এবং সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ‘‘এ রকম ছবিতে আগে কাজ করিনি। একেবারে আলাদা অভিজ্ঞতা,’’ ‘শামসেরা’ নিয়ে এখনই খুব বেশি মুখ খুললেন না বাণী। বাছাই করে কাজ করায় বিশ্বাসী অভিনেত্রী অপেক্ষায় আছেন নতুন চ্যালেঞ্জের।