ঊষসী চক্রবর্তী ফাইল চিত্র।
ফি-দিন ‘জুন আন্টি’ নিত্যনতুন চমক উপহার দিচ্ছেন অনুরাগীদের। ৬ অগস্ট বাবা শ্যামল চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি ডক্টরেট উপাধি পাওয়ার খবর সবাইকে জানান। ২২ অগস্ট ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের খলনায়িকার নব রূপ, তিনি লেখিকা! প্রথম সারির একটি পুজাবার্ষিকীতে তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ‘সব পথ বৃত্তাকার’ প্রকাশিত হয়েছে। আরও চমক, এই উপন্যাসের অনেকটাই অভিনেত্রী অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে শুয়ে লিখেছেন!
ঊষসী জানানোর আগেই অনেকে দেখেছেন পুজাবার্ষিকীতে লেখিকার নাম। একই মানুষ দুই ভূমিকায় কিনা জানতে চেয়েছেন তাঁরা। সবাইকে আশ্বস্ত করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ইচ্ছে ছিল লেখিকা হবেন। এ বারের পুজোয় সেটাই হলেন। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি এমন একটি উপন্যাস লিখেছেন যা আগামী দিনে ছবির বিষয়ও হয়ে উঠতে পারবে। এই জায়গা থেকেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম ছবিই করব। তার পর মনে হল, আগে ছাপার অক্ষরে গল্পটি প্রকাশিত হোক। পরে কারওর পছন্দ হলে তিনি ছবি বানাতে পারবেন।’’
‘জুন আন্টি’র আরও ইচ্ছে, আগামী বইমেলায় তাঁর এই উপন্যাস দুই মলাটে বই আকারে সেজে উঠুক। অভিনয়ের পাশাপাশি উপন্যাস লেখা খুব সহজ ব্যাপার নয়। কী করে সবটা সামলালেন অভিনেত্রী? ঊষসীর কথায়, ‘‘যে রাঁধে সে মাঝেমধ্যে চুলও বাঁধে। এই জায়গা থেকেই প্রচুর পরিশ্রম করে উপন্যাসটি লিখেছি। দুই নারীর ভালবাসার গল্পে অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে চায়না টাউন। ফলে, উপন্যাসের জন্য অনেক বার সেখানে গিয়েছি। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি।’’
উপন্যাস লেখার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ‘জুন’ গল্পকে চিত্রনাট্য আকারেও লিখে ফেলেছেন। জানিয়েছেন, কেউ যদি তাঁর চিত্রনাট্যকে ঘষেমেজে ছবি বানাতে চান তা হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন