রানিকুঠির মাঠ। ফুটবল খেলছেন ঊষসী চক্রবর্তী। কখনও ভোরবেলা, কখনও বা বিকেলে মাঠে ওয়েট লিফটিং করছেন। ডায়েটও চলছে জোরকদমে।
অভিনয়ের মাঠ ছেড়ে খেলার ময়দানে? ‘‘এই বয়সে ফুটবল শেখার সুযোগ পাচ্ছি। তাও আবার খোদ শিলটনের মতো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কোচ! ছবির জন্য এরকম কাজ করতে হবে ভাবিনি কখনও’’ ঊচ্ছ্বসিত ঊষসী। মহিলা ফুটবলার ‘কুসুমিতা’-র চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বাস্তবে ঊষসীর কোচ হলেও ছবিতে কুসুমিতার প্রেমিকের চরিত্রে শিলটন। বাস্তব থেকে বেরিয়ে এসে এই ছবি কুসুমিতার প্রেমকেও ফ্রেমে ধরে রাখবে।
আবার লড়াকু কোচ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এ বার তিনি আর ‘কোনি’-র ‘ক্ষিতদা’নন। ফুটবলার কুসুমিতার ট্রেনার, যিনি পা ভেঙে যাওয়ার পরেও এক ফুটবলারকে ময়দানে ফিরিয়ে আনার সাহস দেখান।
বেঙ্গল খেলতে গিয়ে কুসুমিতার পা ভেঙে যায়। ‘‘আনন্দবাজার পত্রিকায় খবরটা প্রথম প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খবর পৌঁছয় এবং তিনি কুসুমিতাকে উদ্ধার করেন।’’ বলছিলেন ঊষসী। সেই ঘটনা থেকেই ছবির কথা ভেবেছিলেন পরিচালক হৃষীকেশ মণ্ডল। ছবিতে সৌমিত্রর স্ত্রীয়ের চরিত্রে মাধবী মুখোপাধ্যায়। লড়াই থেকে প্রেম, ছবির নানা দৃশ্যে ধরা থাকবে ‘কুসুমিতার গল্প’-এ।
ইষ্টবেঙ্গল আর মোহনবাগানের খেলা সচরাচর মিস করেন না ঊষসী। ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ থেকে ‘দঙ্গল’ সব ছবি দেখার পরেও আজও ‘কোনি’ তাঁর পছন্দের ‘স্পোর্টস বায়োপিক’। টলিউডে মহিলা চরিত্রে অভিনেত্রীদের কাজ করার সুযোগ যে খুব একটা পাওয়া যায় না সে কথা বলতে ভুললেন না তিনি। ‘‘সুদীপ্তা চক্রবর্তী বা অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীরা টলিউডে সেরকম সুযোগই পায়নি। এখানে তাই বিদ্যা বালন বা কঙ্গনা রানাওয়াত তৈরি হবে না। জানি না টলিউডে ফিমেল লিডের জায়গা কবে হবে?’’ নিজেই যেন চ্যালে়ঞ্জটা নিয়েছেন তিনি।
‘‘ফাইট কুসুমিতা ফাইট…’’