প্রথম চুমুর অভিজ্ঞতা জানালেন ঊষসী-সৌরভ-সুস্মিতারা।
তখন টিন্ডার-হোয়াটসঅ্যাপের রমরমা ছিল না। চুমুর ‘ইমোজি’ দিয়ে কাছের মানুষের ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করা যেত না যখন-তখন। ঘনিষ্ঠতা বলতে ল্যান্ড লাইনে মিসড কল আর সবার আড়ালে হাতে হাতটুকু ছুঁয়ে দেওয়া। এর পর সাহস জুগিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে কাছে আসা। বুকে ধড়াস ধড়াস শব্দ। তার পরেই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড। জীবনের প্রথম চুমুর গল্প বলতে গিয়ে এমনই টুকরো টুকরো সব ছবি ভেসে উঠেছে ঊষসী-সৌরভ-সুস্মিতাদের সামনে। চুম্বন দিবসে জেনে নেওয়া যাক তাঁদের অভিজ্ঞতা।
সৌরভ দাস: প্রথম চুমু খেয়েছিলেন অটোতে বসে। সহপাঠীকে স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই আলো-আঁধারিতে মিশে গিয়েছিল তাঁদের ঠোঁট। অভিনেতার কথায়, “মেয়েটিকে আমার অনেক দিন ধরেই ভাল লাগত। তারও আমাকে পছন্দ ছিল। কিন্তু আচমকা চুমু খাব বুঝতে পারিনি। ওর সম্মতি নিয়েই এগিয়েছিলাম। তারকাদের সঙ্গে হাত মেলানোর পর অনেকে যেমন হাত ধুতে চান না, চুমু খাওয়ার পর আমার অবস্থা খানিক সে রকমই ছিল।”
জীবনের প্রথম চুমু যাঁকে খেয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে আর প্রেম হয়ে ওঠেনি। সৌরভের সহপাঠী মন দিয়ে বসেন এক ‘সিনিয়র দাদা’কে। “স্কুল ছাড়ার পর থেকে আর ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি। আমাদের প্রেমটা হল না ঠিকই। কিন্তু স্মৃতিটুকু রয়ে গেল”, আজ থেকে অনেক বছর আগের এক পড়ন্ত বিকেলের স্মৃতি হাতড়ে বলে উঠলেন ‘মন্টু পাইলট’।
ঊষসী রায়: রাতের কলকাতায় চলন্ত ট্যাক্সিতে প্রেমিকের ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে ছিলেন। ঊষসী তখন কলেজ পড়ুয়া। সেই সম্পর্ক আর নেই। কিন্তু প্রথম চুমুর স্মৃতি এখনও অমলিন। “আমার বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছিল। তখন তো অ্যাপ-ক্যাবের সুবিধা ছিল না। হলুদ ট্যাক্সিতে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকাই চুমু খেয়েছিলাম আমরা। লজ্জাও পেয়েছিলাম, চোখে চোখ রাখতে পারছিলাম না,” হুবহু বর্ণনা দিলেন ফেলে আসা সেই মুহূর্তের। তখন হোয়াটসঅ্যাপের চল ছিল না। বাড়ি ফিরে প্রেমিকের ফোনের অপেক্ষায় উতলা হয়েছিলেন ঊষসী। শিহরিত হয়েছিলেন চুমু খাওয়ার মতো ‘দুঃসাহসিক’ কাজ করে।
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়: তখন তিনি কলেজ-পড়ুয়া। চুমু খেতে প্রেমিকের সঙ্গে সটান প্রেক্ষাগৃহে চলে গিয়েছিলেন। ভূতের ছবি দেখতে গিয়ে পেয়েছিলেন প্রথম চুমুর স্বাদ। ‘প্রেম টেম’-এর রাজির কথায়, “প্রথম চুমুর স্মৃতি কেউ ভোলে না। আমিও ভুলিনি। খুব খারাপ একটি ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। নাম পর্যন্ত মনে নেই। আসলে ছবি দেখা তো উপলক্ষ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য চুমু খাওয়া।” পরবর্তীতে সেই প্রেম যদিও টেকেনি। সুস্মিতার মন ভেঙে তাঁর জীবন থেকে বিদায় নেন প্রেমিক। কিন্তু সেই চুমুর স্মৃতি আজও ভোলেননি টলিউডের উঠতি নায়িকা।