Urna Banerjee

Angry Didi: বাবার পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়ি করে কেনাকাটা! নেটমাধ্যমে কটাক্ষের উত্তর দিলেন ‘অ্যাংরি দিদি’

নেটাগরিকদের অভিযোগ, ইদানীং ভাল ভাল বিষয়ে ভিডিয়ো তৈরির চেয়ে বেশি দেখনদারিতে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। একটি ভ্লগ পোস্ট করতেই এই জাতীয় ট্রোল-কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২১ ২০:৫০
Share:

কটাক্ষের মুখে ঊর্ণা।

ঊর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে নানা বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করে ভিডিয়ো তৈরি করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রী। নেটমাধ্যমে তিনি পরিচিত ‘অ্যাংরি দিদি’ নামে। রেগে রেগে মজার কথা বলেন বলে নেটাগরিকরাই এই নামকরণ করেছিলেন তাঁর। গত বছর মে মাস থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি।

Advertisement

তবে তাঁকে নিয়ে অসন্তুষ্ট নেটাগরিকদের একাংশ। অভিযোগ, ইদানীং ভাল ভাল বিষয়ে ভিডিয়ো তৈরির চেয়ে বেশি দেখনদারিতে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক কালে একটি ভ্লগ পোস্ট করতেই এই জাতীয় ট্রোল-কটাক্ষ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে।

মাকে নিয়ে গাড়ি করে নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাওয়ার একটি ভিডিয়ো অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন ঊর্ণা। মাত্র ৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় মা-মেয়ের খুনসুটি থেকে কেনাকাটা, দেখানো হয়েছে সব কিছুই। কিন্তু ঊর্ণার গাড়িতে ‘গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া’-র বোর্ড দেখে চটে যান নেটাগরিকরা।

Advertisement

একজন ক্ষুব্ধ হয়ে লেখেন, ‘ফ্যাশনের জন্য কেনাকাটা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন? আপনার বাবার এতে ক্ষতি হতে পারে।’ অন্য একজনের অভিযোগ, ‘অ্যাংরি দিদি সুন্দর সুন্দর বিষয়ে ভিডিয়ো বানানো থেকে সরে গিয়ে দেখনদারিতে বেশি মন দিয়েছেন।’ জনৈক নেটাগরিক আবার কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়িতে! মানুষের করের টাকায় ভালই ঘুরছেন।’ আরেক জনের প্রশ্ন, ‘এটা কি অফিস থেকে পাওয়া গাড়ি নাকি ব্যক্তিগত গাড়ি?’

এ ধরনের অসংখ্য ট্রোল-কটাক্ষ-প্রশ্নে ভরে গিয়েছে ঊর্ণার মন্তব্য বাক্স। নেটমাধ্যমে মুখে কুলুপ আঁটলেও আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুললেন তিনি। ঊর্ণা বললেন, “আমি এই কথাটা বারবার বলি। আমরা যদি এত নেতিবাচক জিনিসপত্র নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি, তা হলে হয় তো আর ভিডিয়োই বানাতে পারব না। আমি বুঝতে পারিনি এইটুকু একটা ব্যাপার নিয়ে এত কিছু হয়ে যাবে।”

কিন্তু সরকারি গাড়িতে করে এ ভাবে কেনাকাটা করতে যাওয়াটা কি যুক্তিসঙ্গত? নেটাগরিকদের ছুড়ে দেওয়া এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঊর্ণা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী হলেও গাড়িটি অফিস থেকে পাওয়া নয়। ঊর্ণার কথায়, “গাড়িটা আমার বাবা কিনেছেন। সুতরাং সেটা আমাদের পরিবারের গাড়ি। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন, আমি কোন যোগ্যতায় ওই গাড়ি চড়ছি। নিজের বাবার কেনা গাড়ি চড়তে কি আমাকে সরকারি চাকরি করতে হবে? আমি বুঝতে পারছি না।”

নেটমাধ্যমের ট্রোলিংকে খ্যাতির বিড়ম্বনা বলেই মনে করেন ঊর্ণা। শুধু গাড়ির জন্যই নয়, পোশাক নিয়েও নানা ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হয় বলে অভিযোগ তাঁর। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে বলে বিখ্যাত হওয়া ‘অ্যাংরি দিদি’ তবে প্রতিবাদ করেন না কেন? “আমি যদি কিছু বলতে যাই, লোকজন বলবে আমি নিজেকে খুব বড় কিছু একটা মনে করছি। তাই চেষ্টা করি চুপ করে থাকার। কে কী বলল, সেটা নিয়ে এত মাথা ঘামাই না”, উত্তর দিয়ে মৃদু হেসে উঠলেন ঊর্ণা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement