Urmila Matondkar

আমার স্বামীকে সন্ত্রাসবাদী ও পাকিস্তানি বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়: ঊর্মিলা মাতন্ডকর

২০১৬ সালে ঊর্মিলা কাশ্মীরি ব্যবসায়ী মোহসিন আখতার মীরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৪৯
Share:

ঊর্মিলা মাতন্ডকর।

তিনি অভিনেত্রী। তার উপর পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনাতেও। ট্রোলিং যে তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী হবে, সে কথা ধরেই নেওয়া যায়। এক ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করে কী ভাবে অনলাইনে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন, তা নিয়ে মুখ খুললেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর।

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে ঊর্মিলা বলেন, “আমার স্বামীকে সন্ত্রাসবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে পাকিস্তানি বলা হয়। সব কিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। কেউ আমার উইকিপিডিয়া পেজে গিয়ে আমার মা-বাবার নাম বদলে রুকসানা আহমেদ এবং শিবিন্দ্র সিংহ করে দেয়। কিন্তু তাঁদের প্রকৃত নাম সুনীতা মাতন্ডকর এবং শ্রীকান্ত মাতন্ডকর।”

ধর্ম নিয়ে এ ধরনের হেনস্থার সম্মুখীন হয়ে ক্ষুব্ধ ঊর্মিলা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মুসলিমকে বিয়ে করলেও নিজের ধর্ম ত্যাগ করেননি। তিনি এবং তাঁর স্বামী, দু’জনেই নিজেদের ধর্মের সব নিয়ম পালন করেন। ঊর্মিলা জানান, তাঁর স্বামী কাশ্মীরের মুসলিম। তবুও তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে একাধিক বার পাকিস্তানি বলে দাগিয়ে দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা খুবই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Advertisement

আরও খবর: ‘টুম্পা’ এ বার ‘করিশ্মা’, ‘গার্লস গ্যাং’ নয়া চমক সুমনার

২০১৬ সালে ঊর্মিলা কাশ্মীরি ব্যবসায়ী মোহসিন আখতার মীরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শুধু ট্রোলিং অবধি থেমে থাকেনি হেনস্থাপর্ব। ২০১৯ সালে অভিনেত্রীর উইকিপিডিয়া পেজে তাঁর প্রকৃত নাম বদলে মারিয়া আখতার মীর লিখে দেওয়া হয়। মূলত নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম নিয়েছেন অভিনেত্রী, এমনটা প্রতিপন্ন করার জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এ ধরনের কাজকর্ম তাঁকে আঘাত করে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

আরও খবর: হাসপাতালে তৈমুরকে দেখতে এসে তার নাম নিয়ে সমালোচনা, বলি তারকাকে নিয়ে ক্ষুব্ধ করিনা

দিন তিনেক আগে ঊর্মিলার ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। কিন্তু মুম্বই পুলিশের সাইবার সেল এবং ইনস্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement