ঊর্মিলা মাতণ্ডকর।
১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারি। পরাধীন ভারতের কুখ্যাত রাওলাট আইন ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতবাসীর। এ বার সেই আইনের সঙ্গেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের তুলনা টানলেন অভিনেত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন নেত্রী ঊর্মিলা মাতণ্ডকর।
মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে পুণের গাঁধী ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসে ঊর্মিলা বলেন, “মহাত্মা গাঁধীর আদর্শ এখনও বেঁচে রয়েছে। যারা সিএএকে সমর্থন করেন, সেই সব ব্যক্তিকে এবং তাঁদের নেতাদেরও রাজঘাটে (মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থল) যেতে হবে। এবং তাঁকে উপযুক্ত সম্মান জানাতে হবে।”
ঊর্মিলার মতে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীই হিন্দুধর্মের প্রকৃত অনুরাগী ছিলেন। নাথুরাম গডসের (গাঁধীর হত্যাকারী) কথাও টেনে এনে ঊর্মিলা বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, নাথুরামও কিন্তু হিন্দু ছিল।”
আরও পড়ুন-কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ভিখারি নন, তাঁরা সরকারের কাছে হাত পাতেননি, বললেন বিধু বিনোদ চোপড়া
সিএএ-এর তীব্র নিন্দা করে ওই অনুষ্ঠানে ঊর্মিলা বলেন, “ইতিহাস রাওলাট আইন ভুলে যায়নি। সিএএ-ও সেই আইনের মতোই কালো আইন।” তাঁর মতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ‘ভারতীয়ত্ব’কেই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কোনও অবস্থাতেই এই আইনকে যে তিনি সমর্থন করেন না, সে কথাও জানান ঊর্মিলা।
গত বছর লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার কিছু মাস পর কংগ্রেস ছেড়েছিলেন ঊর্মিলা। তাঁর প্রধান অভিযোগ ছিল দলে কায়েমি স্বার্থ এবং ক্ষুদ্র দলদলির রাজনীতি প্রবল।
আরও পড়ুন-গুরুদ্বারে তাপসীকে যৌন হেনস্থা, পাল্টা ‘শিক্ষা’ দিলেন অভিনেত্রী