নার্গিস ফকরি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম ছবিতেই তিনি ছকভাঙা। ‘রকস্টার’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি ছবিতে আত্মপ্রকাশ নার্গিস ফকরির। তার পর একে একে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘হাউসফুল’, ‘আজহার’-এর মতো ছবিতে দর্শকের মন কেড়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু, অভিনয় কেরিয়ারে যে বিরাট সাফল্য পেয়েছেন, এমনটা নয়। মুম্বইতে এসে নিত্যদিন মানিয়ে নিতে হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। নিজেকে বরাবরই সাদাসিধে মানুষ বলেই মানেন তিনি। সেই কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি বিপদেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। সরল স্বভাবের জন্য শুধু যে হিন্দি সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে বিপদে পড়েছেন, তেমনটা নয়। প্রথম বার মায়ানগরীতে পা রেখেই ঘর খুঁজতে গিয়ে অতিলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। ভাড়া বাড়ি পেলেও থাকতে পারেননি সেখানকার অদ্ভুত সব কাণ্ডের কারণে। অভিনেত্রীর আলমারির ভিতরে থেকে পাওয়া যায় ছ’টি মরা পাখি। ঠিক কী কারণে ঘটে এমন ঘটনা?
নিউ ইয়র্কে জন্ম, মুম্বইতে তেমন কোনও পূর্বপরিচিতি ছিল না তাঁর। ‘রকস্টার’-এর সাফল্যের পর বাড়ি খুঁজতে শুরু করেন অভিনেত্রী। বান্দ্রার অভিজাত এলকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। তবে সেই ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই একের পর এক অপ্রাকৃত ঘটনা ঘটতে থাকে অভিনেত্রীর সঙ্গে। রাতে ঘুমোতে পারে্তেন না নার্গিস, শুধু অদ্ভুত সব স্বপ্ন। নার্গিসের কথায়, ‘‘স্বপ্নে এক ছ ফুট লম্বা পুরুষকে দেখতাম। যে টেনে হিঁচড়ে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে শ্মশানের দিকে। সেখানে সে মাংস খেত ও আমাকে খাওয়ার জন্য বাধ্য করত। রাতের পর রাত এই এক স্বপ্ন।’’
যদিও শেষে সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে পাকাপাকি দিল্লিতে চলে যান অভিনেত্রী। আসাবপত্র রেখে আসেন সেই ফ্ল্যাটে। যদিও পরে অভিনেত্রী জানতে পারেন, তাঁর আলমারি থেকে নাকি উদ্ধার হয় ছ'টি মৃত পাখি। তবে কী কারণে এই সব ঘটনা ঘটছিল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই নার্গিসের কাছে।