বিচিত্র সব পোশাক পরে মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে চলে আসেন উরফি জাভেদ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এ বার আর বিমানবন্দরে নয়, বৃষ্টি ভেজা মুম্বইয়ের রাস্তায় দেখা দিলেন উরফি জাভেদ। পরনে মোহময়ী বেশ। ঝলমলে আইভরি স্কার্টের ঝুল উরুর কাছে এসে থেমেছে। সেই রঙেরই ফুলহাতা টপ। মাথা ঢাকা ওড়নায়। হঠাৎ এত আবরণের ঘটা? হল কী উরফির, ভাবছিলেন ঘিরে ধরা পাপারাৎজি। উরফি তাঁদের মনোভাব বুঝে হেসে বললেন, ‘‘ধমাকা আছে পিছনে!’’ বলা মাত্রই পিছন ঘুরলেন প্রাক্তন বিগ বস তারকা। দেখা গেল, তাঁর পিঠ অনাবৃত। সামনে যতটা পোশাক পিছনে প্রায় কিছুই নেই।
অমনি ফটাফট ক্যামেরার শাটার পড়তে লাগল। ঝলসে উঠল উরফির খোলা পিঠ। কিছু ক্ষণ সামনে ঘুরে কিছু ক্ষণ পিছন ফিরে পোজ দিয়ে হাই হিলে এঁকেবেঁকে হেঁটে উরফি ঢুকে গেলেন এক ক্লাবে।
এ বার ফের নতুন অবতারে দেখা গেল উরফি জাভেদকে।
তার পরই চর্চা শুরু তাঁর পোশাক নিয়ে। দিনের পর দিন তাঁর ফ্যাশনের চমক কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে? কে বানান উরফির পোশাক। মুম্বইয়ের এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সেই পোশাকশিল্পীর নাম শ্বেতা শ্রীবাস্তব।
তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি হেসে বলেন, ‘‘আমার মাথা থেকে বেরোয় না এগুলো। সব আইডিয়া দেন উরফিই। তিনি যা করেন জেনেবুঝে করেন। তা ছাড়া, সাহসী পোশাক কম-বেশি সকলেই পরতে চান, নয় কি?’’
তবে শ্বেতাই উরফির কল্পনার রূপকার। তাঁর হাতে তৈরি পোশাকের গুণেই উরফি জাভেদ নিত্যনতুন চমক হয়ে ওঠেন। তাতে কটাক্ষের ঝড় বইলেও অনেকের মতে, উদ্ভট সাজই তাঁর উপস্থিতির আগুন উস্কে দেয়। কখনও গায়ে তার জড়িয়ে, কখনও সেফটিপিন, আবার কখনও নিজেরই ছবি আটকে বা কখনও একসঙ্গে দুটো প্যান্ট পরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন মডেল তারকা।
কিছু দিন আগেই মুম্বই বিমানবন্দরের সামনে এক সাক্ষাৎকারে উরফি হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘লোকে তো চায় আমি পোশাক না পরি, তাই বলে আমি কি বেআব্রু হয়ে যাব?’’