কেমন ছিল উরফির ছোটবেলা? ফাইল চিত্র।
দাগ ধরা দেওয়াল। লাগোয়া বিছানার চাদরেও অভাবের ছাপ। তার উপর ছিটকাপড় জড়ানো এক হাসিখুশি শিশু। চোখে কাজল। মাথায় অল্প চুল। যাকে দেখে কষ্টকল্পনাতেও মনে আসবে না এখনকার কোনও তারকার কথা। কিন্তু ছবিটি পোস্ট করেছেন উরফি জাভেদ। ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘বচপন’ অর্থাৎ, শৈশব।
তাঁকে এখন সবাই চেনেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে রয়েছে উরফির বিভিন্ন পোশাক পরা ছবি। আর সঙ্গে চলা বিতর্কিত পোস্ট। থানাপুলিশও হয়ে গিয়েছে তাঁর ‘স্বেচ্ছাচার’ নিয়ে। তার পরও নিজের রুচিতে, যা খুশি তা-ই পরেন উরফি। কাউকে পরোয়া নেই।
নেই শিকড় লুকোনোর ভয়ও। কী ভাবে রোজগার করেন উরফি? সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অনেকেরই নেই। নিজেও ব্যক্তিজীবন আড়ালেই রাখেন মডেল-তারকা। তবে তাঁর ছোটবেলার অনেক কথাই প্রকাশ্যে এনে দেয় রবিবার সকালে পোস্ট করা সেই ছবি।
যতটুকু জানা যায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে লখনউয়ের এক গ্রামে থাকতেন উরফি। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে তিনিই বড় কন্যা। তাঁর এক বোনও রয়েছে। কিন্তু মেয়ে হওয়ার অপরাধে গঞ্জনা দিতেন বাবা। মায়ের উপর অত্যাচার চলত, দেখতেন উরফি। তাঁকেও প্রতিনিয়ত মারধর করতেন বাবা। তাই ছোটবেলা থেকে একটিই লক্ষ্য ছিল তাঁর, ঘর ছাড়া।
খুব অল্প বয়স থেকে রোজগার শুরু করেন উরফি। মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর মা আর বোনকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। বোনের পড়ার খরচ তিনিই চালান। আর বাঁচিয়ে রাখেন পোশাক নিয়ে অনন্ত আগ্রহ। প্রতি মুহূর্তে নিরীক্ষা চালান সেই নিয়ে।
উরফি ফ্যাশনের দুনিয়ায় পরিচিত মুখ। অভিনয় করেছেন টেলিভিশনের একাধিক ধারাবাহিকে, যা অনেকেই জানেন না। হঠাৎ পোস্ট করা তাঁর ছোটবেলার ছবি এক ধাক্কায় সামনে এনে দিল অতীতের অমসৃণ পথ। তবে পরোয়া কী! উরফি সদাই স্বমহিমায়।