একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সত্ত্বেও সমাজমাধ্যমে সৌজন্যে বেশ জনপ্রিয় মুখ তিনি। তবে এই জায়গায় পৌঁছনোর পথটা খুব একটা সহজ ছিল না উরফির জন্য। — ফাইল চিত্র।
বিতর্ক তৈরি করায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কখনও নিজের পোশাক নির্বাচনের মাধ্যমে, কখনও আবার নিজের বেফাঁস মন্তব্যের মাধ্যমে কোনও না কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করেন টেলিভিশন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ উরফি জাভেদ। কখনও খবরের কাগজে আড়াল করেন যৌবন, কখনও আবার বিদেশি ফলেই স্তনযুগল ঢাকেন তিনি। একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সত্ত্বেও সমাজমাধ্যমে সৌজন্যে বেশ জনপ্রিয় মুখ তিনি। তবে এই জায়গায় পৌঁছনোর পথটা খুব একটা সহজ ছিল না উরফির জন্য। এ বার নিজের সেই লড়াই নিয়েই মুখ খুললেন ছোট পর্দার বিতর্ক কন্যা।
বছর কয়েক আগে থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও চালু হয়েছে টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’। ‘বিগ বস ওটিটি’-তে অংশগ্রহণ করার পরেই নজরে আসেন উরফি জাভেদ। উরফি জানান, ওই সময় রিয়্যালিটি শোয়ে পরার জন্য পোশাক কেনার টাকাও ছিল না তাঁর কাছে। এক সাক্ষাৎকারে টেলি তারকা বলেন, ‘‘দর্শক আমাকে নানা রকমের পোশাক পরে দেখতেন। কিন্তু, আমার কাছে আসলে ওই সব পোশাক কেনার মতো টাকা তখন ছিল না। বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল আমাকে।
’’ উরফি আরও বলেন, ‘‘আমি বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জামাকাপড় কিনতাম, নিজের মতো করে সেলাই করে সেগুলো পরতাম। এখন আমি ওঁদের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো জায়গায় এসেছি।’’ নিজের পোশাক নির্বাচনের জন্য নজরে আসার পরেও টাকা পয়সার দিক থেকে বিশেষ উন্নতি হয়নি তাঁর, জানান উরফি। তিনি বলেন, ‘‘গত বছর পর্যন্ত আমার কাছে বিশেষ টাকা পয়সা ছিল না। বাড়িভাড়া দিতে পারতাম না। বাড়ি ভাড়ার টাকা জোগা়ড় হলে খাওয়ার টাকা থাকত না।’’ তবে বন্ধুরা প্রতি পদক্ষেপে সাহায্য করেছেন তাঁকে। উরফি বলেন, ‘‘আমি আমার বন্ধুদের থালা থেকেই খেয়েছি অনেক সময়। কারণ, তখন জামাকাপড় কেনা, প্রসাধনীর জিনিস কেনার জন্য টাকা সরিয়ে রাখতে হতো।’’
সমাজমাধ্যমে তারকা তকমা পেলেও এখনও পর্যন্ত বিশেষ সঞ্চয় করে উঠতে পারেননি উরফি। তিনি বলেন, ‘‘আমি যাচ্ছেতাই খরচ করি না। পার্লারে যাই না। খুব দামি কোনও জিনিস কিনি না। তাতেও আমার টাকা জমে না।’’ তবে অর্থ সঞ্চয়ে নিজের ব্যর্থতার কারণও জানিয়েছেন উরফি। তিনি বলেন, ‘‘আসলে আমার জন্য যত জন কাজ করেন, তাঁদের সবার দায়িত্ব তো আমারই। সেই দায়িত্ব পালন করতে করতেই আমার সব টাকা শেষ হয়ে যায়।’’