গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
আবারও সিবিআই ডেকে পাঠাল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং অভিনেতার পরিচারক নীরজকে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরজকে মোট তিনবার এবং সিদ্ধার্থকে দু’বার ডেকে পাঠাল সিবিআই।
মুম্বইয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে অতিথিশালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি রয়েছে সেখানে রবিবার সকালেই প্রবেশ করতে দেখা যায় সুশান্তের পরিচারক নীরজকে। অন্যদিকে এর কিছুক্ষণ পরেই সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও জিজ্ঞাসবাদের জন্য সিবিআই ডেকে পাঠায়। সিবিআই সূত্রে খবর, সুশান্ত কাণ্ডের মূল দুই প্রত্যক্ষদর্শী নীরজ এবং সিদ্ধার্থের বয়ানে অসংগতি এবং অমিলগুলিকে খতিয়ে দেখতে আবারও তাঁদের ডেকে পাঠায় গোয়েন্দা সংস্থা। নীরজের বয়ান অনুযায়ী, সিদ্ধার্থই প্রথম সুশান্তের নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছিলেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পর সিদ্ধার্থ, নীরজ এবং সুশান্তের আর এক কর্মচারী দীপেশকে সঙ্গে নিয়ে সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটটিতে পুনরায় যায় সিবিআই টিম। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলটি। সেখানে সুশান্তের মৃত্যুর দিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় বলে খবর। গতকালও নীরজ এবং সিদ্ধার্থকে নিয়ে সুশান্তের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থা। সুশান্তের জীবনযাপন কেমন ছিল তা নিয়েই সিদ্ধার্থকে মূলত আজ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, এর মধ্যেই রিয়া এবং তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই।
আরও পড়ুন- অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মহেশ ভট্ট? সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়
পাশপাশি এমসের চার সদস্যের একটি দল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে। কেন সেই রিপোর্টে মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ নেই সে বিষয়েও অনুসন্ধান করবে দলটি। এই প্রসঙ্গে দিল্লির এমসের ফরেন্সিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের প্রধান সুধীর গুপ্ত গতকাল বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তে মৃত্যুর সময় লেখার জায়গাটি ফাঁকা রেখে দেওয়া খুবই আশ্চর্য ব্যাপার। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে এই ফাঁক থাকলে মুম্বই পুলিশের তখনই উচিত ছিল, দ্বিতীয় কোনও বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকের মত নেওয়া।’’
গতকালই সিবিআইয়ের একটি দল মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতাল যায়। এখানেই সুশান্তের দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছিল। হাসপাতালের ডিন এবং যে ক’জন চিকিৎসক ময়না-তদন্ত করেছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। অন্যদিকে সুশান্তের তুতো ভাই এবং বিজেপি নেতা বাবলু আজ অভিযোগ করেন, সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে কিছু ডাক্তারও জড়িত আছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, সুশান্তের দুই কাছের বন্ধু সিদ্ধার্থ এবং সন্দীপও ‘চক্রান্তে’ জড়িত।
আরও পড়ুন- গাঁজার নেশা ছিল সুশান্তের! মৃত্যুর দিন সেই প্যাকেট ছিল ফাঁকা, পরিচারকের বক্তব্যে বাড়ছে রহস্য