Saif Ali Khan Attack Case

সইফ যখন লড়ছেন দুষ্কৃতীর সঙ্গে, তখন মদের নেশায় করিনা! এ বার যোগ্য জবাব দিলেন টুইঙ্কল!

সইফের উপর হামলার রাতে কোথায় ছিলেন করিনা? অনেকে আঙুল তুলেছেন সইফ-পত্নীর দিকে এ বার তাঁদের জবাব দিলেন অক্ষয়-পত্নী টুইঙ্কল খন্না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৪
Share:

করিনাকে দোষারোপ মুখ খুললেন টুইঙ্কল খন্না। ছবি: সংগৃহীত।

এক প্রকার ঝ়ড় বয়ে গিয়েছে সইফ আলি খান ও তাঁর পরিবারের উপর। গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে কোনও অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। ডাকাতিতে বাধা দিতে গেলে ছুরিকাহত হতে হয় সইফকে। গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতাকে। পাঁচদিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে অভিনেতা জানিয়েছেন, সে রাতে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী করিনা কপূর খান ছিলেন শোয়ার ঘরে। হঠাৎই ছোট ছেলের কান্নার আওয়াজ পান। কিন্তু সমাজমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে নানা কথা চলছে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে।

Advertisement

আগেই জানা গিয়েছিল, ডাকাতির আগের রাতে নিজের বান্ধবীদের (গার্ল গ্যাং) সঙ্গে হাউজ় পার্টি করছিলেন করিনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন করিনা, করিশ্মা, সোনম কপূর ও রিয়া কপূর। পার্টি হয়েছিল সোনমের বোন রিয়ার বাড়িতে। সে রাতে পার্টির বেশ কিছু ছবিও নিজের সমাজমাধ্যমে দেন করিনা-করিশ্মা। বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই মধ্যরাতে অঘটন। অনেকেরই ধারণা, সে রাতে মদ্যপ ছিলেন করিনা। সেই কারণে স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। বরং তাঁর বড় ছেলে, আট বছরের তৈমুর নিয়ে যায় বাবাকে। কেউ কেউ আবার বলছেন, ঘটনার সময় নাকি বাড়িতেই ছিলেন না করিনা।

এ বার করিনা প্রসঙ্গে টুইঙ্কল বলেন, ‘‘দিন কয়েক আগে সইফ আলি খানের উপর হামলা চালানো হয়। এর পর অনেকেই এখন আরও বেশি করে সচেতন হয়েছেন। ঘরে ঘরে নিজেদের সুরক্ষ নিয়ে অনেকেই সজাগ থাকছেন। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। তবে সইফ যখন হাসপাতালে, তখন হাস্যকর কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে, হামলার সময় তাঁর স্ত্রী নাকি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিলেন যে স্বামী সাহায্য করার পরিস্থিততে ছিলেন না। যে হেতু কোনও প্রমাণ নেই, তাই এই বোকা তত্ত্বগুলিকে থামানো যায়নি। আসলে স্ত্রীর উপর দোষ চাপিয়ে লোকে আনন্দ পায়।’’ তাঁর মতে স্বামীদের যে কোনও বিষয়ে দোষ দেওয়া হয় স্ত্রীকে। একমাত্র দোষারোপ করার সময়ই স্ত্রীদের এক নম্বরে রাখা হয় বলে মনে করেন টুইঙ্কল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement