হঠাৎ চালু রশিদের নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট!
টুইটের মামলায় সবে জামিন পেয়েছেন কমল রশিদ খান। তার মধ্যে আবার নাটকীয় মোড়। কমলের জীবন বিপন্ন। তাঁর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে করা একটি টুইট এমনই দাবি করছে। আশ্চর্যের বিষয়, অভিনেতা তথা সমালোচক কেআরকের তেইশ বছর বয়সি পুত্র ফয়জল কমলের বয়ানেই লেখা হয়েছে সেটি। তবে, টুইটটি আসলে ফয়জলেরই করা কি না, বা হুমকির সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে কি না তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
বলি তারকাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য এবং উঠতি অভিনেত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে কমল রশিদকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। টুইটারে বিতর্কিত মন্তব্য করায় অনেকের চোখেই অপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা। তার উপর ২০২১ সালে এক ফিটনেস প্রশিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই গত ৩ সেপ্টেম্বর মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে পেশ করা হয়।
এত দিন তাঁকে রাখা হয়েছিল থানে সংশোধনাগারে। ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থানে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান অভিনেতা কমল রশিদ। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেছেন, “আমি সব লিখিত এবং মৌখিক তথ্য খুব ভাল করে যাচাই করেছি। ২০২০ সালের একটি অপরাধ শুধু মাত্র একটি টুইটের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।... এই টুইটের জন্যই যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে, তেমন কোনও প্রমাণ নেই সরকার পক্ষের কাছে। বর্তমানে এই অপরাধের সর্বোচ্চ দণ্ড হিসাবে সাত বছরের জেল হতে পারে। সাম্প্রতিক নিয়মকানুন অনুযায়ী কিছু পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়া যেতে পারে।”
এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক উস্কে দিল ফয়জলের টুইট। বৃহস্পতিবার বিকেলেই চালু হয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট, যা গত সপ্তাহে কেআরকে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে নিষ্ক্রিয় ছিল। দুটি টুইট থ্রেডে পোস্ট করা হয়েছে, ‘আমি কেআরকে-র ছেলে ফয়জল কমল। মুম্বইয়ে আমার বাবাকে হত্যা করার জন্য কিছু লোক উঠেপড়ে লেগেছে। আমি লন্ডনে থাকি। মাত্র ২৩ বছর বয়স আমার। জানি না বাবাকে কী ভাবে সাহায্য করব।’
অভিনেতা অভিষেক বচ্চন এবং রিতেশ দেশমুখের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশকেও ট্যাগ করা হয় সেই টুইট। ফয়জল লেখেন, ‘আমার বাবার জীবন বাঁচাতে অনুরোধ করছি আপনাদের। আমি এবং আমার বোন তাঁকে ছাড়া মারা যাব। বাবা আমাদের কাছে জীবন।’ সঙ্গে আরও লেখেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মতো মৃত্যু হোক বাবার, তা একেবারেই চান না।
ইতিমধ্যে অভিষেক এবং রিতেশ প্রায়শই টুইটারে কেআরকে-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ বলেই জানা যায়। যদিও দুই অভিনেতা এখনও অবধি টুইটের জবাব দেননি।