‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে পারছেন না তুনিশার মা বনিতা শর্মা। তাঁর দাবি, শীজ়ানই তুনিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ফাইল চিত্র
পনেরো মিনিট এতটাও বেশি সময় নয়। মেকআপ রুমের শৌচালয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়লেও নিজেকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারেননি তুনিশা শর্মা। যখন সহকর্মীরা তাঁকে দেখতে পান, তখনও শ্বাস পড়ছিল অভিনেত্রীর, এমনই দাবি তুনিশার মা বনিতা শর্মার। তদন্তের এই পর্বে এসে বনিতার বয়ানে পাওয়া গেল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানালেন, তুনিশাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু দূরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর কন্যার। কাছাকাছি কোথাও ভর্তি করা হলে তুনিশাকে বাঁচানো যেত বলেই মনে করছেন বনিতা।
গত ২৪ ডিসেম্বর, ‘আলিবাবা: দস্তান-এ-কাবুল’ সিরিয়ালের সেটের সেই ঘটনা স্তম্ভিত করে দিয়েছে অভিনয় জগৎকে। তুনিশার মৃত্যুরহস্যের কিনারা হয়নি। তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সহ-অভিনেতা তথা প্রাক্তন প্রেমিক শীজ়ান খানকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ তুলেছিলেন তুনিশার মা-ই। তাঁর কথায়, “এটা খুন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তবে আত্মহত্যাও করে থাকতে পারে আমার মেয়ে। শুটিং যেখানে হচ্ছিল তার পাশেই তো হাসপাতাল। সেখানে না নিয়ে গিয়ে দূরের হাসপাতালে কেন নিয়ে গেল শীজ়ান? তখনও তো শ্বাস পড়ছিল মেয়েটার! বেঁচে যেতে পারত।”
অন্য দিকে, শীজ়ানের পরিবারের তরফে পাল্টা দাবি, অকারণে ফাঁসানো হচ্ছে অভিনেতাকে। বরং তুনিশার সঙ্গে তাঁর মায়ের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তুনিশার উপার্জনের সব টাকা তাঁর মা কুক্ষিগত করে রাখতেন বলেই দাবি শীজ়ানের আইনজীবীর। যদিও এ সব তথ্য অস্বীকার করেছেন বনিতা। তাঁর দাবি, “মেয়ে আমার কাছে কী ছিল, সেটা বুঝি লোককে ব্যাখ্যা করতে হবে?” শুধু তা-ই নয়, গত ২১ ডিসেম্বরের একটি ভিডিয়ো ক্লিপও শেয়ার করেন বনিতা। যেখানে তুনিশা তাঁকে বলছেন, “মা, তোমায় খুব ভালবাসি। এত ভালবাসি যে বলে বোঝাতে পারব না।”
পুলিশ সূত্রে খবর, শীজ়ানের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। যে ঘটনা বিনোদন দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে। ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে পারছেন না তুনিশার মা বনিতা শর্মা। তাঁর দাবি, শীজ়ানই তুনিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, মাদক সেবন করতেন অভিনেতা। আরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে তুনিশাকে ঠকিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, তুনিশাকে বিয়ের প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিলেন শীজ়ান। তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে শীজ়ানকে।