উইল স্মিথ এবং টোটা রায়চৌধুরী।
স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা! অস্কার মঞ্চেই সটান চড় মেরে সঞ্চালক ক্রিস রককে ‘সহবতের পাঠ’ পড়িয়েছেন অভিনেতা উইল স্মিথ। কারণ তাঁর স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট কমেডিয়ান-সঞ্চালকের কটাক্ষের শিকার। ১৯৯৭ সালের ছবি ‘জি আই জেন’-এ নায়িকার চরিত্রের মাথায় চুল কম থাকা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। স্মিথের স্ত্রী জাডার মাথাতেও চুল কম। এই নিয়েই রসিকতা করেন সঞ্চালক। শুধু চড় মেরেই ক্ষান্ত থাকেননি স্মিথ। তোড়ে গালি-গালাজও করেছেন। এই ঘটনা যদি বাংলা-বলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরীর সঙ্গে ঘটত?
আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন করতেই নতুন ‘ফেলুদা’র সপাট জবাব, ‘‘সকালেই শুনেছি ঘটনাটা। স্মিথ যা করেছেন, বেশ করেছেন। আমি থাকলেও তা-ই করতাম।’’ টোটা হতবাক, মাত্র একটা চড় মেরেই থেমে গেলেন কেন স্মিথ? অভিনেতার দাবি, তিনি হলে কম করে ২-৩টি চড় মারতেন! টোটার মতে, এক এক সময়ে সত্যিই সঞ্চালকেরা মাত্রাজ্ঞান খুইয়ে বসেন। তিনি বাংলার পুরস্কার মঞ্চেও তেমনটা দেখেছেন।
এর পর নাম না করেই টোটা বলেন, ‘‘কিছু কিছু সঞ্চালক কোথায় থামতে হবে, সেটাই ভুলে যান। যা মুখে আসে বলতে শুরু করে দেন। এই ব্যবহার কিন্তু সঞ্চালিকাদের থেকে পাওয়া যায় না। তাঁরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সংযত।’’ ছোট পর্দার ‘রোহিত সেন’-এর মতে, “ক্রিস হয়তো সঞ্চালনা করে লাখ লাখ ডলার উপার্জন করেন। তাঁর মানে এটা নয়, যা ইচ্ছে হবে তিনি তা-ই বলবেন। জাডা ‘অ্যালোপেশিয়া’য় ভুগছেন। কারওর অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ করা অমানবিকতার নামান্তর। তিনি মহিলা হলে তো কথাই নেই।” অভিনেতার দাবি, কারও ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করাটা নিন্দনীয়। কেউ সেটা করলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা দেওয়া উচিত।